Ex গার্লফ্রেন্ড যখন বউ
.
পর্বঃ০৩
.
.
তারপর আমি রুম থেকে বের হয়ে গেলাম। একটু পরে আমি আর আয়েশা শপিং করতে গেলাম। অনেক শপিং করলাম। এবং বাড়িতে এসে দেখি আমাদের বৌভাতের প্রস্তুতি চলছে। একটু পরে আয়েশাকে নিয়ে যাওয়া হল এবং আমাকেও রেডি হতে বলা হলো। আমরা দুজনে রেডি হয়ে আসলাম। আয়েশাকে দেখতে পুরো পরির মত লাগছে। একটা মেয়ে এত সুন্দর কিভাবে হয়। তার প্রত্যেকটা রূপের বর্ণনা করতে ভাষা হারিয়ে ফেলছি।

আমি- আচ্ছা আপনি এত সুন্দর কেন?

আয়েশা- সেটা কি সেটা কি আজকে খেয়াল করলেন নাকি।

আমি- নাকি কি পুরো কথা বলুন।

আয়েশা- থাক এখন বলব না পরে বলব।

অনেক সুন্দর করে আমাদের অনুষ্ঠান চলছে।
বৌভাতের অনুষ্ঠান এখন শেষ।
আমি মনে মনে ঠিক করে রাখলাম আয়েশাকে শাস্তি দিব শাস্তি হবে রোমান্টিক। কারণ সে আম্মুর কাছে মিথ্যা কথা বলল যে, আমি তাকে শপিংয়ে নিয়ে যাবো। ঠিক করে রাখলাম আয়েশা যখন রুমে আসবে তখনই তাকে এই শাস্তি দেবো রোমান্টিক শাস্তি।

আয়েশা যেই রুমের ভেতর ঢুকলো আমি তাকে এক টান দিয়ে আমার বুকে জড়িয়ে নিলাম। তার কোমরে হাত রেখে শাড়ির ভিতর দিয়ে তার পেটে হাত রাখার সাথে সাথে সে হাল্কা কেঁপে উঠল।

আয়েশা কাঁপা কাঁপা গলায় বলল,

আয়েশা- আমার এখন একটু ফ্রেশ হতে হবে প্লিজ।

আমি- ফ্রেশ আমি কিন্তু অনেক ভালো ফ্রেশ করতে পারি মানুষকে।

আয়েশা- মানে?

আমি- মানে হচ্ছে যে,

এ কথাটি বলার সাথে সাথে তার ঠোটজোড়া সাথে আমার ঠোট জোড়া লাগিয়ে দিলাম। কতক্ষণ ছিল জানিনা কিন্তু যখন আমি তাকে ছাড়লাম তখন দুনো জনেই হাঁপাচ্ছি। তারপর আমাকে ধাক্কা দিয়ে সে ওয়াশ রুমের দিকে চলে গেল।

আজকের রাতটা জানি কেমন অনেক গভীর। যেন আজকের রাতটা শেষ হবে না। চাঁদের আলো অন্য দিনের তুলনায় বেশি। এবং এত কিছু থাকার ফলে আমার মুডটাও ও রোমান্টিক হয়ে গেল। একটু পরে দেখলাম আয়েশা বের হলো পাতলা একটি শাড়ী পরল। পেট দেখা যাচ্ছে। আমি এক পলকে চেয়ে রইলাম। একটু পরে সে খেয়াল করলো যে আমি কি কি দেখছি সাথে সাথে আচল দিয়ে ডেকে দিল।

আমি- এত সুন্দর করে জিনিস দেখছি আর আপনি ঢেকে দিলেন কেন।

কথাটি বলেই জিব্বায় কামড় দিলাম

আয়েশা- লুচু কথাকার যেখানে সেখানে লুচ্চা গিরি করতে আসবেন অসভ্য।

আমি- ওমা আমি তো আপনার স্বামী, এটা তো আমার অধিকার।

আয়েশা- কি অধিকার আপনার।

আমি- কি অধিকার দেখাবো।

কথাটি বলে তাকে কোলে তুলে নিলাম

আমি- জানেন আজকে আপনাকে অনেক সুন্দর লাগছিল।

আয়েশা- আচ্ছা আমাকে এখন একটু নামাবেন।

আমি- কেন আমার কোলে থাকতে ভালো লাগে না।

আয়েশা লজ্জায় আমার বুকে মাথা লুকালো। আমি তাকে ধীরে ধীরে বিছানায় শুইয়ে দিলাম। আমিও তার পাশে শুয়ে পড়লাম। ধীরে ধীরে আমার হাত তার কোমরে দেওয়ার সাথে সাথে সে একটু কেঁপে উঠল। আমি একদম তার কাছে চলে গেলাম। তারপর তাকে আপন করে নিলাম এবং ডুব দিলাম ভালবাসার অতল সাগরে।

সকাল হলো

আয়েশা- আপনি কি উঠবেন না?

আমি- না উঠবো না আর একটু ঘুমাব রাতে যে নাইট ডিউটি করলাম।

আয়েশা- আপনার মুখে কি কোন কথা আটকায় না।

আমি- না আপনার রোগটা আমার হয়ে গেছে। আপনি তো বললেন কোন কিছু না আটকাতে। কোন কিছু আটকালে বলে আপনার রিনা মিনা টিনা এগুলো আটকে যাবে। তাই কিছু আটকাইনি।

আমার কথা শুনে আয়েশা লজ্জা পেল

আমি- আচ্ছা আমার চোখে কি হইছে একটু দেখান তো প্লিজ।

আমি ঢং করছি তাকে কাছে ডাকার জন্য।

আয়েশা- কি হলো আমাকে বলুন?

আমি- এই চোখে চোখে কি যেন পড়ছে লাগতেছে খুব ব্যাথা করতেছে।

যখন সে একদম কাছে চলে আসলো তখন তার ঠোঁট দেখে আমি অবাক হয়তো এখন গোসল করে এসেছে তাই তার কপাল থেকে পানি বেয়ে তার ঠোঁটে আসলো। দৃশ্যটা যে কত সুন্দর তা আপনাদের বলে বুঝাতে পারব না। আমি অনেকক্ষণ এক নজরে চেয়ে রইলাম।

আয়েশা- এভাবে কি দেখেন?

আমি- আপনাকে।

আয়েশা- আগে দেখেননি বুঝি।

আমি- না আগে দেখিনি।

আয়েশা- তাহলে কি আজকে নতুন দেখলেন?

আমি- আপনাকে প্রত্যেকদিনই আমি নতুন করে দেখি।

আয়েশা- আচ্ছা আমি এখন যাই আমার কাজ আছে।

আমি- একটু দাঁড়ান না একটা ইয়ে দিয়ে যান।

আয়েশা- ইয়ে মানে কি?

আমি- ইয়ে মানে ইয়ে আরকি।

আয়েশা- সবসময় দুষ্টুমি তাই না।

আমি- আচ্ছা কালকে তো আপনি কি বলছিলেন জানি কি পিকচার আভি বাকি হে মেরে দোস্ত।

আয়েশা- সেটা বলিনি আমি বলেছিলাম ইয়ে তো বাস শুরুয়াত হে আগে আগে দেখো হোতাহে কেয়া।

আমি- তো কি দেখাবেন বলেন।

আয়েশা- আমার ভালোবাসা দেখাবো।

আমি- তাই নাকি তাহলে এখন একটু ভালোবাসা দেখান।

আয়েশা- সব সময় দুষ্টুমি না। আমি এখন নিচে যাচ্ছি।

তারপর আয়েশা চলে গেল। আমি ফ্রেশ হতে গেলাম এবং ফ্রেশ হয়ে এসে দেখি একটা ছেলে বসে আছে।

আমি- আয়েশা ছেলেটা কে?

আয়েশা- ছেলেটা আমার এক ফ্রেন্ড।

আমি- ও আচ্ছা।

আমি আর কিছু না বলে খাবার খেতে গেলাম। খাবার খাচ্ছি এমন সময় আমার হাত থেকে চামচ নিচে পড়ে গেল। আমি চামচটি তোলার জন্য যখন মাথা টেবিলের নিচে ঢোকালাম তখন আমি যা দেখলাম তা বিশ্বাস করার মতো না।

চলবে