খালাতো বোন যখন বউ
ক্ষুদে লেখক
আজ প্রায় ৫ বছর পর বাড়ীতে যাচ্ছি। আর এই ৫টা বছর না আমার পরিবারের কেউ আমার সাথে দেখা করেছে বা যোগাযোগ করেছে। আর না আমি। ভাবিনি কখনো আমাকে আবার আমার পরিবারের সম্মুখিন হতে হবে। তবু নিয়তি যখন যাকে যখন যেখানে দরকার তখন সেখানে পাঠিয়েই দেয়। কারন নিয়তি কোন অজুহাতে মানে না। আমার জীবনটা যোগসূত্র আমি আজও বুঝতে পারিনি। যাকে ভালোবেসেছি সেই ছেড়ে দিয়েছে। যার হাত ধরেছি কিছু রাস্তা চলার পর সে হাত ছেড়ে দিয়েছে। কষ্ট পেতে পেতে আজও আমি শেষে হয়ে গেছি। ভালোবাসার বদলে পেয়েছি ধোঁকা। কষ্ট পেয়ে যাকে আকড়ে ধরতে চেয়েছি সেই আরও বেশি কষ্ট দিয়েছে।
.
.
অতীতের অনেক প্রশ্নের ঊওর আজও পায়নি।
আমার প্রশ্ন শুধু একটাই....
কেন আমার সাথে এমন হলো??
.
.
বাসের হরন শুনে বাস্তবে ফিরলাম। বাসে এসে পড়েছে। ৫মিনিট পর বাস ছাড়বে। বাস আসার পর আমি আমার নির্ধারিত আসনে বসে পড়ি। ঠিক তখনি একটা বোরকা পড়া মেয়ে আমাকে এসে বলতে লাগল.....
.
মেয়েটা:এই যে একটু সরে যাবেন। আমি
আমার সিটে বসতাম।
.
মেয়েটার কন্ঠ শুনে মনে হলো আমার চেনা। যার জন্য আজ সব থেকেও নেই।আজও তার উওর পেলাম না। আমার দোষটা কী ছিল?
.
মেয়টা:হেল্ল সিটা আমার।
.
আমি কিছু না বলে সিট থেকে উঠে তাকে তার সিটে বসার জন্যে জায়গা দিলাম। বাসে উঠার কিছুক্ষন পর বাস ছেড়ে দেয় আর আমি কানে হেডফোন লাগিয়ে ফেলে আসা দিন গুলোর কথা ভাবতে লাগলাম। কতই না আন্দের ছিল শৈশবের দিন গুলি। কিশোর কিন্তু যৌবনের বয়সটা যে আবেগের আর কষ্টের হবে তা বুঝতেই পারিনি।
.
.
আপনারা হয়ত কিছুই বুঝতে পারছেন না।
তাহলে চলুন ঘুরে আসি আমার ফ্লাসব্যাক থেকে।
.
আমার নাম হল সানি। মা-বাবার ১ মাত্র ছেলে। তবে এটা ভাববেন না আমি তাদের এক মাত্র সন্তানের। যদি তা ভাবেন তাহলে ভুল করবেন কারন আমার ১টা আদরে ছোট বোন আছে ওর নাম রিয়া।
.
.
রিয়াঃ এই ভাইয়া,এইভাইয়া উঠ না। দেখ কত বেলা হয়ে গেছে।
.
আমিঃ ঐ যা এখান থেকে। সারাক্ষন খালি মশার মত কানের কাছে ঘ্যান ঘ্যান করা ছারা তোর আর কোন কাজ নেই।
.
রিয়াঃ কি আমি মশা দাড়া তোর ব্যবস্থা করছি।
.
আমিঃ তোর যা করার করে নে এখন আমি
তোর ভাবিদের সাথে ঘুমের মধ্যে রোমান্স করব।
.
রিয়াঃ তোর রোমান্স বের করছি।
.
এই বলে আমার উপর বিনা মেঘে বৃষ্টিপাত
হতে লাগল।
.
আমিঃ ঐ তুই এটা কি করলি। আমার ঘুমটা কি তোর কী শত্রুতা করেছে যে এভাবে আমাকে ভিজিয়ে দিলি।
.
রিয়াঃ কি করেছে তোর ঘুম। আমার যে আজ ৯ টায় স্কুলে যেতে হবে সেটা তোর মনে নেই।
.
আমিঃ তো যা। আমাকে কেন বলছিস।
.
রিয়াঃ আজ তোর 3rd year result তোর মনে নেই।
.
আমিঃ আরে এইটা তো মনেই ছিল না। আজ যে কি হবে তা আল্লাই যানে।
.
.
তাই তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠে কোন রকমে
ফ্রেস হয়ে বোনকে নিয়ে ওর স্কুলে রেখে আমি
ভারসিটিতে দিকে যাই। কলেজে যাওয়ার পর কলেজের মাঠের মাঝে আসতেই কিছু একটার সাথে ধাক্কা খেয়া পড়ে যাই। যে আমাকে ধাক্কা দিয়েছে তাকে যখনি কিছু বলতে যাব তখনি......
.
মেয়েটাঃ ঐ পোলা দেখে চলতে পারিস না। চোখ কি চাঁদে রেখে আসছিস।
.
.
কেমন লাগে বলুন নিজে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিল আমাকে। কোথায় সরি বলবে তা নয় উল্টে আমাকেই গালি দিচ্ছ তাই আমি বলতে লাগলাম।
.
.
আমিঃ ঐ ছেমরি আমার চোখ যেখানে থাকার সেখানেই আছ। কিন্তু তোর চোখ মনে হয় কোন ময়দার দোকানে রেখে আসছিস যার কারনে আমার মত একটা কিউট ছেলের সাথে ইচ্ছা করেই ধাক্কা খেলি।
.
.
আর এদিকে মাইয়া দেখি রেগে পাকা টমেটোর মতো হচ্ছে। মনে হল টমেটো একটু খেয়ে দেখি কিন্তু আমার দূভাগ্য যে আমি টমেটো খাই না।
.
মেয়েটাঃ ঐ কি বললি আমি তোরে ইচ্ছা করে ধাক্কা মারছি তাই না এবার দেখ।
.
এই বলে একটা ধাক্কা দিয়ে মাইয়া ওখান থেকে পগার পার হয়ে গেল। আর আমি কিছুই করতে পারলাম না। যাইহোক তারপর মাটি থেকে উঠে বান্দরদের খুজতে লাগলাম। কিন্তু একটাকেও খুজে পেলাম না। তাই মন করে ক্লাসরুমের দিকে যেতেই দেখি সব কয়টা বাদর মোবাইলে কি যেন দেখছে আর হাসতে হাসতে মাটিতে পরে যাচ্ছে। আমি মনে করলাম হয়ত কোন ফান ভিডিও দেখছে তাই ওদের এ অবস্থা। ওদের কাছে যেতেই নাজমুল বলে উঠল।
.
নজমুলঃ কিরে মামা তুইতো ফেমাস হয়ে গেলি।
.
আমিঃ কেনরে আমি এমন কি করলাম যে ফেমাস হয়ে গেলাম আর আমি তাই জানি না।
.
নাজমুলঃ কি করেছিস মানে এই দেখ কলের মাঠে তোর কত সুন্দর রোমান্টিক ভিডিও।
.
.
তারপর ভিডিও দেখেতো আমার মাথায় হাত। এটা কিভাবে সম্ভব কখন কিভাবে আমি ঐ বদমাইস মেয়েটাকে ইয়ে করলাম। তখনি মনে পড়ল এই জন্যেইতো বলি। যখন প্রথমে মেয়েটার সাথে ধাক্কা খেয়ে পড়ে যাই তখন কেন যেন মনে হচ্ছিল ঠোটের কোন কিছুর ছোয়া পেয়েছিলাম। এখন এই ভিডিও বাড়ীর কেউ দেখলে আমিতো শেষ। তাই ওদের বললাম......
.
আমিঃ দোস্ত তোরা ভিডিওটা ডিলিট করে দে। যদি বাড়ীর কেউ দেখেতো আমি শেষ।
.
নাজমুলঃ এসব আমাদের বলে লাভ নেই এই ভিডিও কলেজের সবার কাছে লাইভ টেকিকাষ্ট হয়েছে।
.
আমিঃ কি বলছিস ।
.
জয়ঃ ঠিকি বলছি। তোর ভাগ্যটা আজ বেশি ভালো। আমাদের মধ্যে শুধু তুই পরিক্ষায় পাস করেছি। .
পরীক্ষা পাস করেছি ভালো খবর কিন্তু আজ যা হল সেটা বাড়িতে জানলে আমি শেষ। তারপর মন খারাপ করে বাড়ীর দিকে যাচ্ছি আর ভাবছি আজকে যে কারমুখ দেখে ঘুম থেকে উঠেছি। সব ওর জন্যে। একবার যদি ওরে কাছে পাই তো দেখে নিতাম।
.
যাইহোক বাড়িতে এসে বাড়ীর কলিং বেল বাজানোর কিছুক্ষন পর আম্মু দরজা খুলে দিল। আমাকে আজ অন্যমস্ক দেখে বলতে লাগল....
.
মাঃ কিরে আজ তোর কি কিছু হয়েছে।
.
আমিঃ না কিছু হয় নাই।
.
মাঃ ঠিক আছে যা ফ্রেস হয়ে খেতে দিচ্ছি।
.
তারপর রুম গিয়ে ফ্রেস হতে যেই বাথরুমের দরজা খুললাম। তখন বাথরুমের ভিতরের যে দৃশ্য দেখলাম তা দেখে একটা চিৎকার দিয়ে ওখানেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। আপনারা হয়ত এটা ভাবছেন আমি বাথরুমের ভিতরে এমন কি দেখে জ্ঞান হারালাম। তাহলে শুনুন আমি যেই বাথরূমের দরজা খুললাম ওমনি দেখি------



# খালাতো বোন যখন বউ
#ক্ষুদে লেখক
# পর্ব--০২
#পর্ব ০১ এর পর থেকে....
রিয়াঃ কি করেছে তোর ঘুম। আমার যে আজ ৯ টায় স্কুলে যেতে হবে সেটা তোর মনে নেই।
.
আমিঃ তো যা। আমাকে কেন বলছিস।
.
রিয়াঃ আজ তোর 3rd year result তোর মনে নেই।
.
আমিঃ আরে এইটা তো মনেই ছিল না। আজ যে কি হবে তা আল্লাই যানে।
.
.
তাই তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠে কোন রকমে
ফ্রেস হয়ে বোনকে নিয়ে ওর স্কুলে রেখে আমি
ভারসিটিতে দিকে যাই। কলেজে যাওয়ার পর কলেজের মাঠের মাঝে আসতেই কিছু একটার সাথে ধাক্কা খেয়া পড়ে যাই। যে আমাকে ধাক্কা দিয়েছে তাকে যখনি কিছু বলতে যাব তখনি......
.
মেয়েটাঃ ঐ পোলা দেখে চলতে পারিস না। চোখ কি চাঁদে রেখে আসছিস।
.
.
কেমন লাগে বলুন নিজে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিল আমাকে। কোথায় সরি বলবে তা নয় উল্টে আমাকেই গালি দিচ্ছ তাই আমি বলতে লাগলাম।
.
.
আমিঃ ঐ ছেমরি আমার চোখ যেখানে থাকার সেখানেই আছ। কিন্তু তোর চোখ মনে হয় কোন ময়দার দোকানে রেখে আসছিস যার কারনে আমার মত একটা কিউট ছেলের সাথে ইচ্ছা করেই ধাক্কা খেলি।
.
.
আর এদিকে মাইয়া দেখি রেগে পাকা টমেটোর মতো হচ্ছে। মনে হল টমেটো একটু খেয়ে দেখি কিন্তু আমার দূভাগ্য যে আমি টমেটো খাই না।
.
মেয়েটাঃ ঐ কি বললি আমি তোরে ইচ্ছা করে ধাক্কা মারছি তাই না এবার দেখ।
.
এই বলে একটা ধাক্কা দিয়ে মাইয়া ওখান থেকে পগার পার হয়ে গেল। আর আমি কিছুই করতে পারলাম না। যাইহোক তারপর মাটি থেকে উঠে বান্দরদের খুজতে লাগলাম। কিন্তু একটাকেও খুজে পেলাম না। তাই মন করে ক্লাসরুমের দিকে যেতেই দেখি সব কয়টা বাদর মোবাইলে কি যেন দেখছে আর হাসতে হাসতে মাটিতে পরে যাচ্ছে। আমি মনে করলাম হয়ত কোন ফান ভিডিও দেখছে তাই ওদের এ অবস্থা। ওদের কাছে যেতেই নাজমুল বলে উঠল।
.
নজমুলঃ কিরে মামা তুইতো ফেমাস হয়ে গেলি।
.
আমিঃ কেনরে আমি এমন কি করলাম যে ফেমাস হয়ে গেলাম আর আমি তাই জানি না।
.
নাজমুলঃ কি করেছিস মানে এই দেখ কলের মাঠে তোর কত সুন্দর রোমান্টিক ভিডিও।
.
.
তারপর ভিডিও দেখেতো আমার মাথায় হাত। এটা কিভাবে সম্ভব কখন কিভাবে আমি ঐ বদমাইস মেয়েটাকে ইয়ে করলাম। তখনি মনে পড়ল এই জন্যেইতো বলি। যখন প্রথমে মেয়েটার সাথে ধাক্কা খেয়ে পড়ে যাই তখন কেন যেন মনে হচ্ছিল ঠোটের কোন কিছুর ছোয়া পেয়েছিলাম। এখন এই ভিডিও বাড়ীর কেউ দেখলে আমিতো শেষ। তাই ওদের বললাম......
.
আমিঃ দোস্ত তোরা ভিডিওটা ডিলিট করে দে। যদি বাড়ীর কেউ দেখেতো আমি শেষ।
.
নাজমুলঃ এসব আমাদের বলে লাভ নেই এই ভিডিও কলেজের সবার কাছে লাইভ টেকিকাষ্ট হয়েছে।
.
আমিঃ কি বলছিস ।
.
জয়ঃ ঠিকি বলছি। তোর ভাগ্যটা আজ বেশি ভালো। আমাদের মধ্যে শুধু তুই পরিক্ষায় পাস করেছি। .
পরীক্ষা পাস করেছি ভালো খবর কিন্তু আজ যা হল সেটা বাড়িতে জানলে আমি শেষ। তারপর মন খারাপ করে বাড়ীর দিকে যাচ্ছি আর ভাবছি আজকে যে কারমুখ দেখে ঘুম থেকে উঠেছি। সব ওর জন্যে। একবার যদি ওরে কাছে পাই তো দেখে নিতাম।
.
যাইহোক বাড়িতে এসে বাড়ীর কলিং বেল বাজানোর কিছুক্ষন পর আম্মু দরজা খুলে দিল। আমাকে আজ অন্যমস্ক দেখে বলতে লাগল....
.
মাঃ কিরে আজ তোর কি কিছু হয়েছে।
.
আমিঃ না কিছু হয় নাই।
.
মাঃ ঠিক আছে যা ফ্রেস হয়ে খেতে দিচ্ছি।
.
তারপর রুম গিয়ে ফ্রেস হতে যেই বাথরুমের দরজা খুললাম। তখন বাথরুমের ভিতরের যে দৃশ্য দেখলাম তা দেখে একটা চিৎকার দিয়ে ওখানেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। আপনারা হয়ত এটা ভাবছেন আমি বাথরুমের ভিতরে এমন কি দেখে জ্ঞান হারালাম। তাহলে শুনুন আমি যেই বাথরূমের দরজা খুললাম ওমনি দেখি কলেজের ঐ ডাইনি মেয়েটা আমার বাথরুমে রয়েছে। এ অবস্থায় আমি জ্ঞান হারাব নাতো কি করব যদি তাও আবার কোন ডাইনি মাইয়া হয়।
.
যাইহোক যখন জ্ঞান ফিরল তখন দেখি বাড়ীর সবাই আমাকে ঘুড়ে ঘুড়ে দেখছে। আমি কিছু বলতে যাব।তখনি আম্মু বলতে লাগল......
.
আম্মুঃ কিরে বাদর বাড়ীর সবাইকে তোলাপোকা দেখিয়ে ভয় দেখাস আজ নিজেই তেলাপোকা দেখে ভয়ে জ্ঞান হারিয়েছিস।
.
আমিঃ এসব কি বলছো তুমি আমি কখন তেলাপোকা দেখে জ্ঞান হারিয়েছি। আমিতো
...(আমাকে থামিয়ে দিয়ে)
.
.
মেয়েটাঃ না খালা উনিতো তেলাপোকা দেখে ভয় পায় নাই। ভয় পেয়েছে তেলাপোকাদের বিয়ে দেখে।
.
.
আমিঃ ঐকি সব বাজে কথা বলছেন। আমি কখন এসব বললাম।
.
মেয়েটাঃ আমি নিজে দেখলাম আপনি যেই বাথরুমের দিকে যাবেন তখনি তেলাপোকা
আপনার মাথায় পড়ার সাথে সাথে জ্ঞান হারালেন।(দেখছেন কি মিথ্যাবাদী)
.
আমিঃ ঐ ছেমরি তোরে কিন্তু এখন....
.
আম্মুঃ তুই চুপ থাক তুই যে মিথ্যা বলছিস তা তোর অবস্থাদেখে বোঝা যাচ্ছে। এখন ফ্রেস হয়ে খেতে আয়।
.
আমিঃ ঠিক আছে আমিতো মিথ্যা বলছি। তবে একটা বিষয় মাথাতে ঢুকছে না এই মেয়েটা কে আর আমার রুমেই বা কি করছে।
.
আম্মুঃ ওহ তুইতো বাড়ীতে ছিলি না সেই সময় ছোঁয়া এসেছে।
.
আমিঃ আরে বাবা আমিতো ওর নাম শুনতে চাই নাই। বলছি যে এই মেয়েটা পরিচয় কি আর আমার রুমেই বা কি করে।
.
আম্মুঃ আমাকে তো বলতে দিবি এ হল ছোঁয়া আমার দুর সম্পর্কের এ্রক বোনের মেয়ে। এখানে থাকতে এসেছে।
.
আমিঃ ওহ তা কত দিনের জন্যে এসেছে।
.
আম্মুঃ ও এখানে তোদের কলেজে ভর্তি হয়েছে। তাই আজ থেকে এখানে তোর রুমে থাকবে।
.
আমিঃ ওহ আচ্ছ। কিহহহ আমার সাথে আমার রুমে থাকবে মানে।
.
আম্মুঃ হ্যা ও এরুমে থাকবে। কিন্তু তুই যে এ রুমে থাকবি তা কে বললো। আজ থেকে তুই উপরের রুমে থাকবি।
.
আমিঃ এটা কোন কথা হল। আমি আমার রুমে না থেকে অন্যরুমে থাকব। এত বড় অন্যায় কিন্তু সহ্য করবে না। এই মেয়েটা কি আর কোন বাড়ী পেলো না একে বারে আমার বাড়ীতে এসে আমার রুমটাই দখল করল।
.
আম্মুঃ তোর কোন কথাই শুনব না। এ রুমে আজ থেকে ছোঁয়া থাকবে।
.
.
এই বলে চলে গেল। আর এদিকে মেয়েটা আমার দিকে তাকিয়ে হাসতেছে । তাই মেয়েটাক বলতে লাগলাম
.
আমিঃ এই যে এত দাত বের করে হাসবেন না তা না হলে দাতে পোকা ধরবে। আর আপনার জামাইকে অন্য জন ভাগিয়ে নিয়ে যাবে।
.
ছোঁয়াঃ শকুনের বর-দোয়া গরু মরে না।
.
আমিঃ কি আমি শকুন। আমি শকুন নই আপনি শকুন। তা না হলে আমার পিছনে পিছনে আমার বাড়ীতে এসে আমার এই সুন্দর রুমটা দখল করতে পারতেন না।
.
ছোঁয়াঃ সে যাই বলুন রুমটা খুব পছন্দ হয়েছে।
.
আমিঃ হায় খোদা তুমি মোরে মোর ঘর সহ উপরে তুইলা নাও। যাতে এই ডাইনি মেয়েটা আমার ঘরে না থাকতে পারে।(মনে মনে বললাম)
.
ছোঁয়াঃ এই যে কিছু কি আমাকে বললেন।
.
এটা মেয়েটার কান নাকি অন্য কোন কিছু যে মনের কথা শুনতে পারে নাকি।
.
আমিঃ কই কিছু বলি নাই তো। তবে এখন বলব দেখুন আমার রুমে থাকবেন ভাল কথা। তবে আমার রুমের কোন কিছুতে হাত দিবেন না।
.
ছোঁয়াঃ সেটা পরে দেখা যাবে। কেবলতো রুমে ঢুকেছি পড়ে টা না হয় পড়েই দেখা যাবে।
.
আমিঃ ধ্যাত। এসব ফালতু বদমেজাজী মেয়ে যে কোথায় থেকে আসে।
.
ছোঁয়াঃ ঐ আপনি এখন যানতো। আপনার ফালতু কথা শোনার টাইম নেই এখন।
.
আমিঃ হুম যাচ্ছি তবে যেটা বললাম সেটা মনে থাকে।
.
তারপর আমি উপরের রুমে এসে ফ্রেস হয়ে খেয়ে বাহিরে গেলাম বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে। ওদের কাছে যেতেই রাফি বলতে লাগল
.
রাফিঃ কিরে আজ এত তাড়াতাড়ি এখানে কেন?
.
আমিঃ কেন আসতে পারি না কি।
.
রাফিঃ সেটা কখন বললাম। তুইতো এত এখানে তাড়াতাড়ি আসিস না। তাই বললাম আর কি।
.
আমিঃ কি করবরে ভাই সবি কপাল বুঝলি।
.
নাজমুলঃ কেন কিছু কি হয়েছে?
.
আমিঃ কি হয়নাই সেটা বল।
.
নাজমুলঃ কি হয়েছে সেটাতো বল।
.
আমিঃ তাহলে শোন কি হয়েছে।এরপর ওদের সব কিছু বলতেই ওরা হাসতে শুরু করে।
.
নাজমুলঃ (হাসতে হাসতে বলতে থাকে) বলিস কিরে মামু শেষ পর্যন্ত মেয়েটা তোর খালাত বোন বের হল। আর প্রথম দিনেই তোর রুম দখল করেছে।
.
আমিঃ তাহলে বলছি কি? একবার ভাব মেয়েটার সাহস কতটা।
.
রাফিঃ আরে ভাই রাগ করিস না ভাই। কেবল তো তোর রুমটা দখল করেছে। দুই দিন পর দেখবি মনের ভিতর যে ঘরটা আছে সেটাও দখল করবে।
.
আমিঃ মানে কি বলছিস। আমিতো কিছুই বুঝতে ছিনা।
.
নাজমুলঃ আরে মামা রাফি যেটা বললো তারমানে হল যে দেখবি মেয়েটা আর তুই তোরা দুজন তলে তলে প্রেম সাগরের পানি খাবি।
.
আমিঃ নো চাজ্ঞ। যদি পারিস তোরা ঐ মেয়ের প্রেমে পড়। আমি ঐ মেয়ের প্রেমে পড়ে অকালে আমার ভবিষ্যত মেয়ের মাকে বিধবা করতে পারব না।
.
রাফিঃ দেখিস পড়ে নিজের কথা থেকে পাল্টি খাস না যেন।
.
আমিঃ সেটা সম্ভব নয় বুঝলি। এখন ওসব কথা রাখ আর এটা বল তোদের খবর কি?
.
তারপর ওদের সাথে আড্ডা দিয়ে রাত ৯টার দিকে বাড়ীতে আসি। বাড়ীত আসতেই আম্মু বলতে লাগল..
.
আম্মুঃ কিরে এতক্ষন কোথায় ছিলি। বাড়ি থেকে বের হলে কি তুই বাড়ীর কথা ভুলে যাস........
To Be Continue------
ভূল ক্রুটি ক্ষমা করবেন
লাইক কমেন্ট করে সাথেই থাকুন


# খালাতো বোন যখন বউ
##ক্ষুদে_লেখক
# পর্ব--০৩
আম্মুঃ কিরে এতক্ষন কোথায় ছিলি। বাড়ি থেকে বের হলে কি তুই বাড়ীর কথা ভুলে যাস।
.
আমিঃ এটা তুমি বলতে পারলে। যান আমি যখনি বাড়ী থেকে বাহিরে যাই সব সময় তোমাদের কথা মনে পড়ে।
.
আম্মুঃ তোর ঐসব চাপা বাজি বন্ধ কর। অনেক সুনেছি তোর এসব কথা। বাড়ীয কাজ করতে করতে আমার কোমর ব্যাথা ধরে গেল।
.
আমিঃ তোমাকে কত দিন বলেছি একটা কাজের লোক রাখ। কিন্তু না..
.
আম্মুঃ কাজের লোক রেখে কি হবে? ঐ একটু কাজে হাতে হাত লাগাবে। কিন্তু আমার সাথে সারা দিন কে কথা বলবে?
.
আমিঃ(না ব্যাপারটা দেখছি অন্য দিকে যাচ্ছে
কথার প্রসজ্ঞ পাল্টাতে হবে দেখছি)ঠিক আছে আম্মু এখন থেকে তোমার সব কথা শুনব তার আগে খেতে দাও। খুব ক্ষুদা লেগেছে।
.
আম্মুঃ তোর কথার কোন বিশ্বাস নেই। তোকে বলেই বা কি হবে আমি তোদের কি হই। যা ফ্রেস হয়ে আয় আমি খাবার বারছি।
.
তারপর আমি ফ্রেস হয়ে খেতে বসতেই আম্মু বলতে লাগল....
ঃ শোন বাবা কাল থেকে তুই ছোঁয়া সাথে করে তোদের কলেজে নিয়ে যাবি নিয়ে আসবি।
.
একথা শুনতেই ভাত আমার গলায় আটকে গেল।কোন রকমে পানি খেয়ে আমি বলতে লাগলাম......
ঃ তুমিতো যান আমি আমার বন্ধুদের সাথে যাই। সেখানে ওনাকে মানে ওকে আমি কি করে নিয়ে যাব।
.
আম্মুঃ আমি কোন কিছু শুনতে চাইনা।যেটা
বলেছি সেটাই ফাইনাল।
.
কি আর করব এক বালতি রাগ নিয়ে রূমে এসে ঘুমে পড়লাম। পনের দিন ঘুম ভাঙ্গলো একটা দুরস্বপ্ন দেখে স্বপ্নে দেখি ছোঁয়া আমাকে নদীর পানিতে আমাকে উঠাচ্ছে আর চুবাচ্ছে। আর যার ফলে আমি শ্বাস নিতে না পারছিনা। যখন ঘুম ভাজ্ঞল যখন দেখি সত্যি আমি পানিতে পুরোপুরি ভিজে আছি। আর আমাকে ভিজিয়ে ছোঁয়া হাসতে শুরু করেছে। আমি রাগি লুক নিয়ে ছোঁয়া দিকে তাকিয়ে বললাম......
.
ঃ ঐ আপনি আমাকে এভাবে ভিজে দিলেন কেন।
.
ছোঁয়াঃ ভিজে দিলাম কেন মানে আমি আপনাকে ডাকতে আসলাম কিন্তু আপনি ঘুমের মধ্যেই আমাকে জরিয়ে ধরেছিলেন। তাই আপনাকে পানিতে ভিজিয়ে দিয়েছি।
.
আমিঃ কি আপনাকে আমি ঘুমরে মধ্যে জরিয়ে ধরেছি। এতবড় মিথ্যা কথা।
.
ছোঁয়াঃ কি আমি মিথ্যা কথা বলছি। অবশ্য বলবেন না কেন আপনার যা স্বভাব।
.
আমিঃ ঐ আপনাকে কে আমার ঘুম থেকে তুলতে বলছে। যতসব ফালতু মেয়ে কোথা কার। সাধ সকালে আমার ঘুমটা ভেজ্ঞে দিল। যানত এখান থেকে।
.
ছোঁয়াঃ ঐ মিয়া আপনার সাহসতো কম নয়। আমাকে জান বলে ডাকছেন।
.
.
আমিঃ আরে খালা আম্মা আমি আপনারে চলে যেতে বললাম। আর আপনি তার উল্টোটা ভাবছেন।
.
ছোঁয়াঃ ঠিক আছে,ঠিক আছে তাড়াতাড়ী আসুন আমাকে আবার কলেজে যেতে হবে।
.
.
এই বলে ছোঁয়া চলে যায়। তারপর আমি বাথরুমে গিয়ে ফ্রেস হয়ে এসে এসে দেখি বিছানার উপর আমার একটা প্রিয় টিসার্ট
রাখা। এটা পুরনো কারো কথা মনে করিয়ে দিলো। কিন্তুকে এটা এখানে রাখল। এতদিন তো কেউ আমার জন্যে কোন কাপর এভাবে রাখত না। যাইহোক টিসার্টটা আমি আলমারিতে তুলে রাখি। আর অন্য একটা টি-সার্ট পড়ে নিচে আসি। তারপর খাবার খেয়ে রিয়া আর ছোঁয়া কে নিয়ে কলেজের দিকে রওনা হই। বোনকে ওর স্কুলে রেখে আমি আর ছোঁয়া এক সাথে কলেজে যাই। কলেজে আমাকে আর ছোঁয়াকে এক সাথে যাওয়া দেখে বান্ধর গুলো আমাকে পচাতে লাগল। তারপর থেকে ছোঁয়া আর আমি প্রতিদিন একসাথে কলেজে যাই আর আসি। যার ফলে আমার আর ছোঁয়ার মধ্যে খুব ভালো বন্ধুত্ব হয়। বয়ফ্রেন্ড যদি কোন ভুল করে তাহলে গালফ্রেন্ড যেমন শাসন করে ঠিক তেমনি ছোঁয়াও আমাকে তেমন শাসন করত। যদি কোন মেয়ের সাথে আমাকে দেখেতো হয়ে গেল। আমাদের এমন ব্যবহার দেখলে যে কেউ মনে করে আমরা একে অপরকে ভালোবাসি। কিন্তু আমরা দুজনতো এটা জানি যে আমারা শুধু খুব ভাল ফ্রেন্ড।এক দিন ছোঁয়া আর আমি কলেজ থেকে বাড়ীতে যাচ্ছিলাম। তখনি কে যেন আমার নাম ধরে ডাকছে। কে ঢাকছে তা দেখার জন্যে পিছনে ঘুরতেই দেখি আমার স্কুল লাইফের ফ্রেন্ড মিম আমার সামনে আসল। ওকে কিছু বলতে যাব।তখনি ও বলতে লাগল
.
মিমঃ কিরে তুই কি রয়রা হয়েছিস।সেই কখন থেকে ডেকেই চলেছি।
.
আমিঃ সরি দোস্ত রাগ করিস না। আমি বুঝতে পারি নাই যে তুই আমাকে ডাকছিস।
.
মিমঃ তা পাড়বি কি ভাবে পাশে এত সন্দুর একটা মেয়ে থাকলে যে কেউ বয়রা অন্ধ হতে পারে।
.
আমিঃ ঐ হারামি চুপ করবি। একেতো অনেক বছর পর দেখা হল। কোথায় একটু মিষ্টি মিষ্টি কথা বলবি তা নয় রাগ দেখাচ্ছে।
.
মিমঃ ঐ আমি রাগ দেখাচ্ছি নাকি।
.
.
আমিঃ না না রাগলে তোকে আমার বউ বউ লাগে। তুই রাগতেই পারিস।
.
মিমঃ শালা হারামি আমি তোর বৌ। দেখ এবার তোর কি করি এই বলে বলে আমাকে মারতে শুরু করল। (আর এদিকে আমি ছোঁয়া দিকে তাকিয়ে দেখি রাগে ওর চোখ লাল হয়ে আছে)
.
পরিস্থিতি সামলে নিতে আমি মিমের কাছে হার মেনে নেই।
আমিঃ উহ লাগছে দোস্ত আর মারিস না। যদি আমাকে মারিস তাহলে আমি আর আমার ভবিষ্যত বউকে দেখতে পারব না।
.
মিমঃ(কিছুটা শান্ত হয়ে)যা তোকে আজকের মতো ছেড়ে দিলাম। এবার বল কেমন আছিস।
.
আমিঃ এতক্ষন মেরে যা অবস্থা করলি এতে কেউ ভালো থাকতে পারে নাকি।
.
মিমঃ ওহ তাই আমার মারের কারনে ভাল যখন নেই তখন তোকে আবার ভাল করব।
.
এইবলে মিম আমার দিকে আসতে লাগল।
আমিঃ কি রে তুই আমার দিকে তোর ঐ গুন্ডি লুক নিয়ে আসছিস কেন।
.
মিমঃ একটা কথাতো জানিস বিষ দ্বারাই বিষকে নষ্ট করতে হয়। তাই...
.
আমিঃ থাক আমি বুঝতে পারছি তুই কি করতে চাচ্ছিস। আমিতো এমনিতেই মজা করে বললাম। আর হ্যা আমি খুব ভালো আছি।
.
মিমঃ আর আমিও তোর সাথে মজা করলাম। তা এখন তুই কোথায় পড়ছিস।
.
আমিঃ অর্নাস লাস্ট ইয়ারেপড়ছি। তা হঠাৎ এখানে যে তুই। আমিতো শুনেছিলাম তুই দেশের বাহিরে গেছিলি।
.
মিমঃ হে তা গেছিলাম।কাল রাতে দেশে ফিরেছি।
.
আমিঃ ওহ খুব ভালো করেছিস। তবে একটা কথা তোকে দেখে কেউ মনে করবেনা তুই বিদেশে ছিলি।
.
মিমঃ কেন আমি বিদেশে ছিলাম তা কেন মনে করবে না।
.
আমিঃ না মানে তুই আগেও যেমন ছিলি আর এখনো তেমন।
.
মিমঃ দেখ বিদেশে পড়েছি বলে কি নিজের দেশের ঐতিহ্যকে ভুলে যাব। আর সেখানে যদি ওদের দেশের ঐতিহ্যকে নিজের করে নেব কেন।
.
আমিঃ আচ্ছা তোর ভাষাণ বন্ধ কর।
.
তারপর মিমের সাথে আরো অনেক কথা বলে বাড়ীতে চলে আসি। কিন্তু আসার পথে ছোঁয়া আজকে একটা কথাও বলে নাই। বাড়ীতে
আসার পড়েও আমার সাথে কোন কথা বলে নাই। ও আমার সাথে কথা বলছে না দেখে ভাবলাম হয়ত কোন কারনে আমার উপর রাগ করেছে। তাই হয়ত আমার সাথে কথা বলছেনা। ভাবলাম এখন ওর সাথে কি ভাবে কথা বলি। অনেক ভেবেও কোন বুদ্ধি মাথায় এলো না। তাই ভাবলাম যখন রাতে ছোঁয়া ছাদে যাবে তখন ওর সাথে কথা বলব। রাতে খাবার খাওয়ার পর আমি ছাদে চলে যাই। অনেক্ষন থাকার পরেও যখন ছোঁয়া ছাদে আসলো না। তখন ভাবলাম আজকে হয়ত ও ছাদে আসবে না। তাই আমি ছাদ থেকে যখন চলে যাব তখনি মন হলো কেউ হয়ত ছাদে আসছে।..........
To Be Continue-----
বিঃদ্রঃ পোস্ট এপ্রোব সংক্রান্ত সমস্যার জন্য নিয়মিত গল্প দেওয়া যাচ্ছে না। তবে টাইমলাইনে দেওয়া হবে। তাই সকলকে এড করার জন্য অনুরোধ করছি।।।

# খালাতো বোন যখন বউ
#ক্ষুদে_লেখক
# পর্ব--০৪
ছাদে দাড়িয়ে আছি আরএকজনের কথা খুব মনে পড়ছে। সে যদি থাকতো তাহল কত না ভালো হতো। কিন্তু সে আমার সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করেছে। আমি যে আজও তাকে ভুলতে পারিনি। এই সব ভাবতে ভাবতে চোখের কোনায় পানি চলে এলো। অনেকক্ষন ছাদে দাড়িয়ে আছি কেউ আসছে না। যখন চলে যাব ঠিক তক্ষনি দেখি ছোঁয়া ছাদে আসছে। আর ওর চোখ দুটো এখনো খুব লাল হয়ে দেখে। যা দেখে মনে হচ্ছে ও হয়ত অনেক কেদেছে। কিন্তু এটা বুঝলাম না ও কি জন্য কাদছে। যাই হোক ছেঁয়া যখন আমাকে ছাদে দেখল তখনি চলে যেতে ধরল। আর আমিও অমনি ওর একটা হাত টেনে ধরি। এতে ছোঁয়া রেগে যায়।
.
ছোঁয়াঃ কি ব্যাপার আপনি আমার হাত ধরেছেন কোন সাহসে।
.
আমিঃ তুমি আমাকে আপনি করে কেন বলছো। আর তোমার হাত কি আমি ধরতে পারি না।
.
ছোঁয়াঃ সেটা আপনাকে বলতে বাধ্য নই। আমি কাকে কি বলে ডাকব। আর একটা কথা মনে রাখবেন। এভাবে বিনা অনূমতিতে আমার হাত ধরার সাহস দেখাবেন না।
.
.
আমি ওর কথা শুনে মনে খুব কষ্ট পাই। আগে যখন ওর হাত ধরেছি কিন্তু ও কিছুই বলে নাই। মনে কষ্ট চাপা রেখে ওকে বললাম
.
ঃ তোমাকে সরি আপনাকে একটা কথা বলতে পারি কি?
.
ছোঁয়াঃ যা বলার তাড়াতাড়ী বলেন আমি ঘুমাতে যাব।
.
আমিঃ ওহ আপনার আজকে হয়ত খুব ঘুম পাচ্ছে। তবে চিন্তা করবেন না একটা কথাই
জানতে চাই। আজকে কলেজ থেকে ফেরার পর থেকে আপনার এমন কি হয়েছে যে আপনি আমার সাথে ভালোভাবে। কথা বলছেন না।
.
ছোঁয়াঃ (তখন রেগে গিয়ে আমার সার্টের কলার ধরে বলতে লাগল) তোর সাথে কিসের ভালোভাবে কথা বলতে হবে হ্যা। যা না তোর সুন্দরি বান্ধবির কাছে যার সাথে মিষ্টি মিষ্টি কথা বলতে পারবি। তাদের গায়ে হাত দিতে পারবি।
.
আমিঃ ছোঁয়া এসব কি বলছো। ও আমার ফ্রেন্ড আর ফ্রেন্ডের সাথে কি কথা বলতে পাড়ব না নাকি।
.
ছোঁয়িঃ কেন তুই কোন মেয়ের সাথে কথা বলবি। যানিস তুই যখন কোন মেয়ের সাথে কথা বলিস আমার কতটা খারাপ লাগে। এমন মনে হয় আমি আমার সব চাইতে দামি কিছু হারিয়ে ফেলছি।(কেদে কেদে)
.
আমিঃ মানে কি এসব কথার। আমিতো কিছুই বুঝতে পারছি না।
.
ছোঁয়াশ তোকে কিভাবে বুজাবে আমি তোকে
ভালোবাসি।
.
.
আমি ওর কথা শুনে স্তব্ধ হয়ে গেলাম কি বলছে এসব। আমির আর কোনো মায়া জড়াতে চাই না। চাইনা আর কারো ছলনায় শিকার হতে। আমি নিজেকে সামলে নিয়ে বললাম....
.
ঃ দেখ ছোয়া তুমি এখনো অনেক ছোট।আর তুমি যাকে ভালবাসা বলছো সেটা ভালোবাসা না এটা খনিকের মোহো। যেটা এক সময় কেটে যাবে। এক সময় মনে হবে আমি তোমার জীবনে ভুল। আমি আর কোন মা.....
.
ছোঁয়াঃ তুমি কী বলতে চাচ্ছিলে। কিসের মা..।
.
আমিঃ বাদ দাও ওই সব। আর ভালোবাসার চিন্তাটাও। তুমি জীবনে আমার চেয়ে ভালো
ছেলে পাবে।
.
ছোঁয়াঃ আমার তোমার চেয়ে ভালো ছেলের দরকার নেই। তুমাকে দরকার। আমার শুধু তোকে দরকার। আর তা যেকোন মুল্যেই হোক না কেন।
.
আমিঃ হয়ত তুমি আমার কথা বুঝতে পার নাই। নয়ত আমি তোমাকে বুঝাতে পারি নাই। কেন বুঝতে পারছ না তোমাকে আমি ভালোবাসতে পারব না।
.
ছোঁয়াঃ কেন ভালবাসতে পারবে না। কি নেই আমার মধ্যে। নাকি তুমি ঐ মেয়েটাকে পছন্দ কর।
.
আমিঃ দেখ ও শুধু আমার ফ্রেন্ড। আর শেষ একটা কথা ভালবাসতে গেলে একটা সুন্দর মন থাকতে হয়। যা আমার হয়ত নেই। ভালো থেকে আসি। ওহ আর একটা কথা আমার বলা কথা গুলো একটু ভেবে দেখ।
.
এই বলে যখন চলে আসবো। তখনি ছোঁয়া বলে উঠল...
.
ছোঁয়াঃ এটাই যদি তোমার শেষ কথা হয়। তাহলে আমারো একটা শেষ কথা শুনে রাখ এ জীবনে যদি আমি তোমাকে না পাই তাহলে আমি কি করব, সেটা তুমি ভাবতেও পারছ না।
.
আমি ওর কথা শুনে থেমে গেলাম। কি বলতে বা করতে চাচ্ছে ও।
আমিঃ তুমি ঠিক কি বলতে চাচ্ছ।
.
ছোঁয়াঃ বলতে চাচ্ছি না। করতে যাচ্ছি।
.
.
এই বলেই ছোঁয়া ছাদের পিলারের উপর উপর দাড়িয়ে যেই লাফ লিতে যাবে। আমি দৌড়ে গিয়ে ওকে নিচে নামিয়ে আনি
.
আমিঃ ওকে ঠাসস একটা চড় দিয়ে বলতে লাগল। তুমি পাগল হয়ে গেছ নাকি।
.
ছোঁয়াঃ হ্যা আমি পাগল হয়ে গেছি।যদি না রাজি হও তো..
.
আমিঃ ঠিক আছে ঠিক আছে তোমাকে কিছু করতে হবে না আমাকে আজকের রাতটা আমাকে ভাবতে দাও।
.
ছোঁয়াঃ ঠিক আছে আজকের রাত কেন দরকার হলে যত ইচ্ছা তত সময় নাও। কিন্তু উত্তর হ্যা ছারা আর কিছু যেন না হয়।
.
.
তারপর আমি ওখান থেকে নিজের রুমে এসে ভাবতে লাগলাম কি করা যায়। আবার কেনো এক নতুন মায়া আমি জড়াতে যাচ্ছি। এই মায়া আমাকে শুধু কষ্ট দেয়। তাই আর কোনো মায়ায় জড়াবো না। অনেক ভেবে একটাই উপায় পেলাম ওকে ওর পাগলামো থেকে বের করে আনতে ছোঁয়া প্রস্তাবে রাজি হতে হবে। আর ততক্ষন পর্যন্ত ভালোবাসার নাটক করতে হব। যতক্ষন পর্যন্ত ছোঁয়া ওর মোহ থেকে বের হয়ে আসছে।
.
সকালেঃ
To Be Continue-----
বিভিন্ন সমস্যার কারণে পর্বটি দিতে অনেক দেরি হওয়ায় আন্তরিক ভাবে দুঃখিত। তাছাড়া তেমন সাড়া পাচ্ছি না। লাইক কমেন্ট করে সাথেই থাকুন।
আগের পর্বের লিংক....

# খালাতো বোন যখন বউ
#ক্ষুদে_লেখক
# পর্ব--০৫
সকালেঃ
পরের দিন আমি ঘুম থেকে উঠে ফ্রেস হয়ে খাবার টেবিলে গিয়ে দেখি ছোঁয়া আর রিয়া খেতে বসেছে। তবে কেউ কোন কথা বলছে না।
.
আমিঃ কিরে বুড়ী আজকে কি খাবার?
.
রিয়াঃ দেখতেই পাচ্ছিসতো আমরা কি খাচ্ছি।
.
আমিঃ তাতো দেখতেই পাচ্ছি। এমনিতেই শুনতে চাইলাম। আর তুই রাগ দেখাচ্ছিস।
.
আম্মুঃ এখানে কে কার উপর রাগ দেখাচ্ছে।
.
আমিঃ কেউ না আম্মু। তা আজকে আব্বুকে দেখছি নাতো খারার টেবিলে।
.
আম্মুঃ তোর আব্বু আজকে একটু তাড়াতাড়িই অফিসে চলে গেছে।
.
আমিঃ ওহ ঠিক আছে আমাকে খেতে দাও খুব খিদে লেগেছে।
.
আম্মুঃ ঠিক আছে বসে পর আমি খাবার দিচ্ছি।
.
.
তারপর খাবার খেয়ে ওদের দুজনকে নিয়ে বের হলাম। কিন্তু আজকে কেউ কোন কথা বলছে না। অন্য দিন হলে ওদের দুজনার কথা
শুনতে শুনতে কান ব্যাথা করতে শুরু করত।
তাই আজকে আমি ওদের বললাম কিরে তোরা আজকে দুজনে মুখে কি তালা মেরে রেখেছিস।
.
রিয়াঃ কই না তো তোর কেন এমন মনে হল।
.
আমিঃ এমনিই বললাম আরকি। অন্য দিন তো তোদের থামানো যেত না।
.
রিয়াঃ কিছু না এমনিতেই।
.
.
আমিঃ ওহ আচ্ছে।
.
.
তারপর বোনকে ওর স্কুলে দিয়ে আমি আর ছোঁয়া একসাথে হেটে কলেজের দিকে যাচ্ছি। তখনি ছোঁয়া বলে উঠল..
.
ছোঁয়াঃ তা কি সিদ্ধান্ত নিলে তুমি?
.
.
আমিঃ অনেক ভেবে দেখলাম তোমার প্রস্তাবে রাজি হয়ে যাই। তবে আমি তোমাকে একটা কথা বলি বলি?
.
ছোঁয়াাঃ তুমি আমার কথায় রাজি আছ।এটাই অনেক আমার কাছে। কি জানতে চাও বল (খুশি হয়ে)
.
আমিঃ কখন আমাকে ছেড়ে যাবে নাত।
.
ছোঁয়াঃ যতদিন বেঁচে থাকবো। আমি শুধু তুমারি থাকবো। মৃত্য আমাকে তোমার থেকে
আলাদা করছে ততক্ষন পর্যন্ত আমি তোমাকে ছাড়া অন্য কাউকে না ভালোবাসব আর না বিয়ে করব।
.
আমিঃ সত্যি তো। কখনো আমাকে ছেড়ে যাবে না।
.
ছোঁয়াঃ হ্যা এক সাথে তিন সত্যি। তবে আজ থেকে তোমাকে আমার সব কথা মেনে চলতে হবে।
.
আমিঃ বোন তুই আমাকে মাপ করে দে। যদি জাতি জানতে পারে যে মুই থুক্কু আমি একটা মেয়ের কথা শুনে বা মেনে চলি তাহলে সকলে মিলে আমাকে বাংলাদেশ থেকে বেড় করে দিবে।
.
ছোঁয়াঃ ঐ কি বললি আমি তোর বোন।
.
আমিঃ হ্যা তো তুমি তো আমার খালাতো বোন।
.
ছোঁয়াঃ ওসফ বোন টোন আমি অনেক আগে ছিলাম। এখন আমি তোর বউ বুঝলি।
.
আমিঃ আমি কখন বিয়ে করলাম। আমারিতো মনে নেই।
.
ছোঁয়াঃ কেন আমি এখন তোর হবু বউ তো। তাই এখন একটু দয়া করে চুপ করে থাক আর আমার কথা গুলো ভালো করে শুনতে থাক। আর তারপর না হয় ভেবে দেখ।
.
আমি :...
.
ছোঁয়াঃ এখন শোন আমার কথা গুলো আজ থেকে সিগারেট খাওয়া বন্ধ,তোর ঐ বান্ধর বন্ধু গুলোর সাথে বেশি মিসতে পারবি না, রাস্তায় কোন মেয়ের দিকে তাকাতে পারবি না, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তে হবে। আর হে আমি যখন রাগ-অভিমান করব তখন তোকে তা ভাজ্ঞতে হবে। কি ভাবে তা করবি আমি জানি না ....ইত্যাদি। কথা গুলো মনে থাকবে তো।
.
আমি :.........
.
ছোঁয়াঃ ঐ কি হল চুপ বলছিস না কেন। আমার কথা তোর কানে ধুকেছে নাকি এক কান দিয়ে ঢুকিয়ে অপর কান দিয়ে বের করে দিয়েছিস।
.
আমি :....
.
ছোঁয়াঃ কি হল কথা বলছিস না কেন। আমার কিন্তু রাগ হচ্ছে।
.
আমিঃ তুমিই তো আমাকে চুপ করে থাকতে বললে।
.
ছোঁয়াঃ হায় খোদা এ আমি কাকে ভালোবাসি। আমি চুপ করতে বলেছি বলে উনি চুপ করে আছেন।
.
আমিঃ কাকে আবার তুমি আমাকে ভালোবাস।
.
ছোঁয়াঃ তোকে ভালোবাসাটাই আমার সব চাইতে ভুল হয়েছে।
.
আমিঃ এইতো intelligent girl এক দিনেই বুঝে গেছ তুমি ভুল মানুষ কে ভালবাসতে
চলেছ। তাই একটা কথা বলি?
.
ছোঁয়াঃ কি?
.
আমিঃ এক কাজ কর আমার সাথে ব্রেক আপ করে আমার থেকে ভালো ছেলের সাথে প্রেম কর।
.
ছোঁয়াঃ না না না এটা হচ্ছে না সোনা। অনেক কষ্টে তোমাকে আমি রাজি করেছি। এখন যদি তোমাকে আমি ছেড়ে দেই। তাহলে সারা জীবন আমি কাকে জালিয়ে খাব।
.
আমিঃ কাকে আবার তোমার বর কে জালাবে।
.
ছোঁয়াঃ ওহ তাই নাকি।
.
আমিঃ হ্যা।
.
ছোঁয়াঃ তাহলে অল্প একটু আগে কে জেন বললো ব্রেক আপের কথা।
.
.
আমিঃ আরে আমিই তো বলেছি। যাতে তুমি কোন ভাল ছেলেকে বিয়ে করে তার জীবনটা ত্যানা ত্যানা করে দিতে পার।
.
ছোঁয়াঃ আমিও তো সেটাই করতে চাই।
.
আমিঃ ওকে তাহলে আজ থেকে ব্রেকআপ কেমন।
.
ছোঁয়াঃ আরে আমাদের রিলেশনের এখনো ১দিন হয় নাই। আর তুমি বলছো এখনি ব্রেকআপ।
.
আমিঃ তুমি এত বোকা কেন বলতো। শুভ কাজে দেড়ি করতে নেই এটা তুমি যান না।
.
ছোঁয়াঃ দেখছো আমিতো এটা জানতামি না। ঠিকিই তো বলেছো শুভ কাজে দেরি করতে নেই। তাহলে আমি দেড়ি করছি কেন।
.
আমিঃ আমিও তো সেটাই তোমাকে বলছি। তাহলে আজকেই আমাদের রিলেসনের শুরু আর আজকেই শেষ।
.
ছোঁয়াঃ তাই।(কেমন করে যেন কথাটা বললো)
.
আমিঃ হ্যা। আর দেখবে আমাদের এ লাভ স্টোরি একটা ইতিহাস হয়ে থাকবে।
.
ছোঁয়াঃ হ্যা আমিও চাই আমাদের লাভ স্টোরিটা ইতিহাস হয় থাক। তাই আমি চাচ্ছি কি?
.
আমিঃ হ্যা বল কি চাচ্ছ।
.
ছোঁয়াঃ আজকেই তো আমাদের রিলেসনটা শুরু হয়েছে তাই এটাকে একটু আলাদা ভাবে.
.
আমিঃ আলাদা ভাবে শেষ করবে তাইতো। (খুশি হয়)
.
ছোঁয়াঃ বাবু দেখছি খুব খুশি হয়েছে। যখন খুশি হয়েছো তাহলে এক কাজ করি এখন সোজা কাজী অফিসে চলে যাই।
.
আমিঃ এ্যা
.
ছোঁয়াঃ ত্র্যা নয় হ্যা।(কলার ধরে)
.
আমিঃ না না এখন বিয়ে করব না তার থেকে বরং তোমার সাথে আগে প্রেম করব।
.
ছোঁয়েঃ আরে তুমি না এখুনি বললে তুমি ব্রেকআপ করবে।
.
আমিঃ ভূল করে বলে ফেলেছি। এবারের মতো মাপ করে কলেজে চলো।
.
ছোঁয়াঃ তা তুমি বললেই সব হবে নাকি। তুমি যখন কাজী অফিসে যাবে না তখন এক কাজ করি কলেজে না যেয়ে সোজা বাড়ীতে যাই।
.
আমিঃ কেন ক্লাস করবে না??
.
ছোঁয়াঃ না বাড়ীতে খুব গুরুত্বপূর্ন একটা কাজ
আছে।
.
আমিঃ ওহ আচ্ছা তা কি কাজ আছে বলা যাবে কি?
.
ছোঁয়াঃ হ্যা শুনতেই পাড়। বাড়ীতে যেয়ে খালা আর খালুকে বলবো আমারা একে অপরকে খুব ভালোবাসি তাই আমাদের যেন বিয়ে দিয়ে দেয়।
.
আমিঃ এসব তুমি কি বলছো। আমাকে কি অকালে বিধবা থুক্কু আমার বউকে বিধবা করতে চাও।
.
ছোঁয়াঃ ঐ একদম বাজে কথা বলবি না। তুই যে আমাকে ভালোবাসিস না তা আমি জানি। তাই তোকে এখন আমি বিয়ে করব।
.
আমিঃ আরে না আমি তোমাকে খুব ভালবেসি অনেক আগে থেকে। তোমাকে একটু পরিক্ষা করে দেখলাম।(মিথ্যা কথা বললাম)
.
ছোঁয়াঃ আমার বিশ্বাস হয় না।
.
আমিঃ সত্যি বলছি।
.
ছোঁয়াঃ তাহলে এখানে আমাকে জড়িয়ে ধর।
তাহলে মানবো।
.
.
হঠাৎ বাসটা ব্রেক করলো আর আমার ঘুম ভেঙ্গে গেলো আর ফিরে এলাম অতীতেরর ভাবনা থেকে । বোরকা পড়া মেয়েটা আমার কাধে মাথা রেখে ঘুমিয়ে আছে। বাস থামতেই সেও জেগে উঠলো। তখন কন্টেকটার বলল......
.
ঃ বাস এখানে ২০ মিনিটের জন্য থামবে যার যা প্রয়োজন। সব করে নিতে পারেন।
.
বোরকা পড়া মেয়েটাকে আমার যেন কেমন মনে হলো চেনা। বাস থামতেই মেয়েটা নিচে নামলো। আমিও নামলাম। নেমে দেখি মেয়েটা দোকান থেকে কিছু কিনলো। আমারও খিদে পেয়ে ছিলো। তাই আমিও কিনলাম। বাস ছাড়তে ৫ মিনিট বাকি। তাই মেয়েটা বাসে দিকে যাচ্ছিলো। তখন আমি মেয়েটাকে বললাম
.
আমিঃ হেলো। এই যে বোরখাআলি।
.
মেয়েটা পিছনে তাকালে আর বলল.....
মেয়েটাঃ আমাকে ডাকছেন।
.
আমিঃ হ্যা।
.
মেয়েটাঃ কেন?
.
আমিঃ আসলে আপনাকে কেমন যেন চেনা চেনা মনে হচ্ছে।
.
মেয়েটাঃ সব ছেলেরা এই রকম বলে মেয়েটা পটানোর চেষ্টা করে।
.
আমিঃ আরে আমি ওই রকম নই।
.
.
মেয়েটাম আমি আমার মুখ দেখেনি। তাহলে কেমন করে আপনার চেনা চেনা মনে হয়।
.
আমিঃ আপনার কন্ঠটা। আপনার কন্ঠ শুনে মনে হলে ঠিক ছো......
.
.
যখনি এই কথাটা বলি মেয়েটা কেমন যেন ভয় পেয়ে গেলো। আর সাথে সাথে বাসে উঠে গেল। তারপর আমিও বাসে উঠে দেখি মেয়েটা মুখ থেকে কাপড় সরিয়ে পানি খাচ্ছে। কিন্তু মেয়েটা আমাকে দেখেনি। সেই চেনা মুখ। সে ভেবেছে আমি তাকে চিনতে পারবো না। কিন্তু সে জানে না সে যখন বাসে উঠেছে তখন থেকে আমি বুঝতে পরেছি তুমি কে। নিখুত অভিনয় তোমার। সেদিন বুঝতে পারিনি। কিন্তু আজ বুঝতে পরেছি। তেমার এই অভিনয়ের জন্য আজ আমার সব থেকেও কিছু নেই। আমি চাইলে আমিও প্রতিশোধ নিতে পারতাম কিন্তু নেই নি। কারন কিছু প্রতিশোধ সময়ের উপর ছেড়ে দিতে হয়। সময় একদিন ঠিকিই প্রতিশোধ নিয়ে নিবে........
To Be Continue------

# খালাতো বোন যখন বউ
#ক্ষুদে_লেখক
# পর্ব--০৬
আমি গিয়ে সিটে বসলাম। আর সেই দিনের কথা ভাবতে লাগলাম যে দিন ছোঁয়া আমাকে প্রথম জড়িয়ে ধরে ছিলো। আর পাগলমি গুলো। মনে মনেই হেসে উঠলাম। আজ প্রশ্ন রয়ে গেছে। সেটা ভালোবাসা ছিলে না অন্য কিছু। আজও মনে আছে সেই দিনটা। আমি যখন মেয়েটা দিকে তাকালাম ঠিক তখনি সে বললো......
.
সেঃ দেখুন লাইন মারার একদম চেষ্টা করবেন না। আমি বিবাহিতো।
.
কথাটা শুনে আমি মুসকি হাসলাম। আর বাইরে দেখতে লাগলাম। সূর্য এখন পশ্চিম আকাশে ডোলে পড়াছে। কয়েক ঘন্টা পরেই সে অস্ত যাবে। আর রাত আসবে যেটা আমার জন্য কষ্টের। জালানা দিয়ে দেখছি সব কিছু কেমন যেন পিছনের দিকে যাচ্ছে। আর বাস সব কিছু ফেলে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। যে মেয়েটা বরকা পরে আমার পাশে বসে আছে সে ভেবেছে আমি তাকে চিনতে পারবো না। আমি তার ধারনাটাই ঠিক রাখতে চাই। সে স্বামি সংসার নিয়ে সুখে আছে থাকনা। আমি আর তার মাঝে ডুকতে চাই না। আমি না হয় অতীত নিয়েই থাকি।
.
.
আজ থেকে ৫ বছর আগে যখন ছোঁয়া আমার জীবনে এসে আবার ভালোবাসতে শিখিয়ে ছিলো। আবার বাঁচতে শিখিয়ে ছিলো তখন এটা ভাবিনি যে আমার জীবন এভাবে পালটে যাবে।
ফ্ল্যাস বেক এগেইন
🔙🔙🔙🔙🔙🔙
.
ছোঁয়াঃ ঐ একদম বাজে কথা বলবি না। তুই যে আমাকে ভালোবাসিস নাতা আমি জানি। তাই তোকে এখন আমি বিয়ে করব।
.
আমিঃ আরে না আমি তোমাকে খুব ভালবাসি অনেক আগে থেকে। তোমাকে একটু পরিক্ষা করে দেখলাম।(মিথ্যা কথা বললাম)
.
ছোঁয়াঃ আমার বিশ্বাস হয় না।
.
আমিঃ সত্যি বলছি।
.
ছোঁয়াঃ তাহলে এখানে আমাকে জড়িয়ে ধর।
তাহলে মানব।
.
কি আর করা বাধ্য হয়ে ওর সর্তে মানতে হল। সেই সাথে ওর মাথা থেকে বিয়ের ভুত নামিয়ে ওর সাথে কথা বলতে বলতে কলেজে চলে আসলাম। ছোঁয়া ওর ক্লাসে চলে গেল। আর আমি বন্ধুদের কাছে গেলাম। ওদের কাছে যেতেই রাফি আমার দিকে তাকিয়ে বলে উঠল...
.
রাফিঃ জানিস নাজমুল। আজকাল দেখি লিপষ্টিকের দাম মনে হয়ে কমে গেছে।
.
নাজমুলঃ কি বলছিস তুই মামা লিপষ্টিকের দাম কমলে আমাকে আর আমার বাবার পকেটা মারতে হত না। কিন্তু তুই হঠাৎ করে কেন বললি যে লিপষ্টিকে দাম কমে গেছে। তুই কি কারো জন্যে কিনেছিস নাকি।
.
রাফিঃ আরে ভাই আমি কেন কিনতে যাব। দেখছিস না যারা লিপষ্টিক নামক বস্তুর আসে পাশেও যায় না তাদের সার্টেও এখন লিপষ্টক লেগে থাকে।
.
নাজমুলঃ আরে শালা লিপষ্টেকের কাছে কেন মেয়েদের কাছে গেলেও তো লাগতে পারে ফ্রিতে।
.
আমিঃ ঐ তোরা লিপষ্টিক নিয়ে গবেষনা করছিস নাকি। আমিতো তোদের কথা কিছুই বুঝতে পারছি না।
.
নাজমুলঃ হ্যা আমিও তো কিছুই বুঝতে ছিনা। আমিতো রাফির কথায় তাল মিলাচ্ছি শুধু।
.
রাফিঃ শালা তুই অন্ধ নাকি (নাজমুলের মাথায় চাটি মেরে)।দেখতে পাচ্ছিস না আমাদের পিয়র সিজ্ঞেল ভাই সানি সার্টে কত সুন্দর করে ঠোটের লিপষ্টেকের মার্ক রয়েছে।
.
নাজমুলঃ আরে শালা আমি তো আগে দেখি নাই এটা।
.
রাফিঃ তুই দেখবি কি করে তুইতো কানা। এসব দেখতে গেল ফরমালিন মুক্ত চোখ থাকতে হয়রে পাগলা। যা সবার থাকে না।
.
নাজমুলঃ হ্যা আমিতো ভূলেই গেছিলাম তোর চোখতে আর সাধারন চোখ নয় এক বারে খাঁটি লুইচ্ছার চোখ।
.
রাফিঃ ঐ বেটা আমাকে লুইচ্ছা বলবি না। আমার মত একটা ভালো ছেলে আমাদের কলেজে কেন এই দেশেও আর একটা খুজে পাবি না।
.
.
আমিঃ ঐ তোরা দুই মানিক জোড়ই খুব ভাল। একমাত্র আমিই লুইচ্চা। তাও একটু চুপ করে থাক না ভাই। আর আমাকে একটু ভাবতেদে এ দাগ কোথায় থেকে লাগল।
.
.
রাফিঃ খুব সহজেই আমি বলে দিতে পারি কোথায় থেকে লেগেছে।(হাসতে হাসতে)
.
.
আমিঃ ওহ তাই নাকি। তাহলে বলে দে দেখি কোথায় থেকে আর কি ভাবে লেগেছে।
.
.
রাফিঃ কিভাবে আবার ছোঁয়া ভাবির কাছ থেকে লেগেছে।
.
আমিঃ ধ্যাত কি যে বলিস....
.
তখনি মনে পড়ল আরে আসার সময়তো ছোঁয়া আমাকে জড়ীয়ে ধরেছিল। কোথাও এমনটা নয়ত তখনি ছোঁয়া ইচ্ছা করে এমনটা
করেছে। হ্যা এটাই হবে তাইত বলি যখন আমাকে ছেড়ে দিল তখন কেন বারবার হাসছিল। আর লোকজন আমাকে কেন
ঘুরে ঘুরে দেখছিল। কি লুচ্চা মেয়েরে বাবা। এই ভাবে আমার মান সম্মান একেবারে কালার করে দিল?
.
.
নাজমুলঃ কিরে কথা বলছিস না কেন। রোমান্সের নাকি স্বপ্নের দুনিয়ায় হারিয়ে গেলি।
.
.
আমি :তোর বাজে কথা বন্ধ কর। এবার মনে পড়েছে কি ভাবে আমার সার্টে এদাগ লেগেছে।
.
তারপর ওদের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সব কথা খুলে বলি।
.
নাজমুলঃতা তো বুঝলাম। কিন্তু তুই যে ওকে বোঝানোর জন্যে এখন নাটক করছিস। কিন্তু ও যদি তোকে সত্যিই ভালোবেসে থাকে। তখন কি করবি।
.
আমিঃ (সত্যিই তো যদি এমনটা হয় তা হলে কি করব) সেটা তখন দেখা যাবে।
.
তারপর আমারা ক্লাস করে বাড়ীতে চলে আসি। এরপর থেকে ছোঁয়া আমার উপর কথায় কথায় রাগ অভিমান করে। আর আর
রাগ অভিমান ভাঙ্গাতে আমার খুব ভালো লাগত। সব সময় আমাকে শাসন করত। এটা করা যাবে না ওটা করা যাবে না। আজ এখানে বেড়াতে যাবে কাল ওখানে যাবে এই সেই। আর এসবের মাঝে আমি যে কখন ওকে ভালোবেসে ফেলেছি বুঝতেই পারি নাই। আর যখন একবার ভালবেসে ফেলেছি তাহলে ওকে সব সত্যি কথা বলে দিয়ে আমার মনের কথাটা বলব। কিন্তু কি ভাবে বলবো তা বুঝতেই পারছিনা। তাই নাজমুলের কাছে একটা আইডিয়া চাইতেই
ও বলে যে..
.
নাজমুলঃ তোর জন্মদিন কবে যেন।
.
.
আমিঃ এইতে ফেবুয়ারি মাসের ১৯ তারিখে। কিন্তু কেনরে এটা দিয়ে কি করবি??
.
নাজমুঃ তাহলে এক কাজ কর ঐ দিন তুই ওকে সব সত্যি কথা বলে দিয়ে মাপ চাইবি। আর সেই সাথে তোর মনের মধ্যে ওর জন্যে জমা করা ভালোবাসার কথা বলে দিবি। প্রথমে হয়ত ও তোকে একটু ভুল বুঝবে তবে তুই যদি ওকে সত্যি কথা গুলো বলেদিস তাহলে তোকে মাপ করে দেবে।কারন ও তোকেতো ভালোবাসে তাই না।
.
আমিঃ হ্যা তুই ঠিক বলছিস। আমি ছোঁয়া ঐ দিন সব সত্যি বলে দিয়ে। সব কিছু নতুন করে আবার শুরু করব।
.
নাজমুলঃ হ্যা তাই কর।
.
আমিঃ তোকে অনেক ধন্যবাদ দোস্ত।
.
নাজমুলঃ ঐ হারামি এটাও জানিস না বন্ধুত্বের মধ্যে এই ধন্যবাদ কথাটা বেমানান।
.
আমিঃ সরি দোস্ত।
.
তারপর দেখতে দেখতে আমার জন্মদিন চলে
আসল। আজকের রাতটা কেটে গেলেই কালকে সকালে ওকে আমি আমার মনের কথা বলব। এটা ভাবতেই কেমন যেন ভাল লাগছে। যাইহোক রাতে খাবার খেয়ে ঘরে শুতে যাব। তখনি ছোঁয়া আমার কাছে
এসে বললো....
.
ছোঁয়াঃ বাবু তোমাকে একটা কথা বলব। কথা দাও তুমি রাখবে।
.
আমিঃ তুমি এভাবে বলছো কেন?? বল কি বলবে??
.
ছোঁয়াঃ বলছিলাম কি তুমি আজ রাত ১২টার দিকে একটু আমার রুমে আসতে পারবে।
.
আমিঃ কি বলছো এতো রাতে তোমার রুমে যদি যাই। আর তা যদি বাড়ীর কেউ দেখে
তো বুঝতে পারছ কি হতে পারে।
.
ছোঁয়াঃ কেউ দেখবে না।
.
আমিঃ কিন্তু..
.
ছোঁয়াঃ কোন কিন্তু নয়। তোমাকে আসতেই হবে। যদি না আস তাহলে আমি এটা মনে করব যে তুমি আমাকে একটুও ভালোবাস না।
.
আমিঃ এটা আবার কেমন কথা??
.
ছোঁয়াঃ আমি তোমার কোন কথা শুনতে চাইনা। তুমি ঠিক সময়ে আমার রুমে
আসবে এটাই ফাইনাল। বাই।
.
তারপর ছোঁয়া ওর রুমে যায়। আর আমি আমার রুমে চলে আসি। এখন আমি ঘড়ীর দিকে তাকিয়ে আছি কখন রাত ১২বাজবে। আর শুরু হবে এক নতুন অধ্যায়। আজ ছোঁয়া কে আমার মনে কথা বলে দেব। আর শুরু করবো এক নতুন অধ্যায়। কিন্তু এই নতুন অধ্যায় আমার জীবন পুরো বদলে দেয়। কিন্তু শালার সময়ও দেখছি
আজকে খুব ধিরে হয়েছে। যেতেই চাচ্ছে না। একদিক ঘুম পাচ্ছে আর এক দিকে মহারানীর হুকুম তালিম হয়েছে। অবশেষে আমার প্রতিক্ষার অবসান ঘটল। ঘড়ীতে তাকিয়ে দেখি রাত ১২ বাজতে আরো ৫মিনিট বাকি। তাই নিজের রুম থেকে বের হয়ে খুব সাবধানে ছোঁয়া রুমের কাছে আসি। ওর রুমে ঢোকার আগে দেখে নিলাম কেউ আবার আমাকে যেন না দেখে তাহলে আমার এই রাত ১২টা আমার ১২টা বেজে দিবে। তারপর ওর রুমে ঢুকতেই ছোঁয়া আমাকে পিছন থেকে জরিয়ে ধরে। প্রথমে একটু ভয় পেলেও পরে নিজেকে সামলে নিয়ে বলি।
.
আমিঃ কি করছ কেউ এভাবে দেখলে আমাদের দুই জনের খুব সমস্যা হবে।
.
ছোঁয়াঃ কেউ দেখতে পারবে না। আমি দরজা লাগিয়ে দিয়েছি।
.
আমিঃ ঠিক আছে এবার বল কি জন্যে আমাকে এখানে ডেকেছ। তাড়াতাড়ি বল আমার খুব ঘুম পাচ্ছে।
.
ছোঁয়াঃ তা বলব। কিন্তু আগে তোমার চোখ বন্ধ কর।
.
আমিঃ চোখ আবার কি জন্যে বন্ধ করব।
.
ছোঁয়াঃ বন্ধ করতে বলেছি আগে চোখ বন্ধ কর না।
.
.
তারপর আমি চোখ বন্ধ করি। ১মিনিট পর এবার চোখ খুলতে পার। আমি চোখ খুলে যেন আকাশ থেকে পড়লাম। এটা আমি কি? নিজেকে সামলে নিয়ে বললাম
.
.
আমিঃ এসব কি? তুমি আমার সামনে এসব পড়ে আছ কেন?
.
ছোঁয়াঃ কেন তোমার ভালো লাগে নাই। আমিতো আজকে তোমাকে তোমার জন্মদিনে সব থেকে আলাদা দুইটা উপহার দিব। একটা এখন দিব আর একটা কাল সকালে দিব। যা তুমি চাইলেও কোনদিন ভুলতে পারবে না।
.
আমিঃ তুমি যে কি বলো না কিছুই বুঝতে পারি না।
.
ছোঁয়াঃ বুঝতে পারছ না ঠিক আছে বুঝাচ্ছি।
.
.
এই বলে ছোঁয়া আমাকে বিছানায় ধাক্কা দিয়ে
ফেলে দেয়। আর বাকিটা ইতিহাস। ছোঁয়া তুমি সত্যি বলে ছিলে। এটা ছিল আমার জীবনের সব চেয়ে বড় উপহার যা আমার জীবন পুরো পাল্টে দিয়েছে। তোমার দ্বিতীয় উপহার। পরের দিন সকালে যখন ঘুম ভাঙ্গলো তখন আমি দেখি বাড়ীর সবাই আমার দিকে চোখ লাল করে তাকিয়ে আছে। আর ছোঁয়া শুধু কেদেই যাচ্ছ। ওর দিকে তাকিয়ে আমি যেন আকাশ থেকে পড়লাম। কারন ওর শরিরে অমানুষিক অত্যাচারের দাগ লেগে আছে। কিন্তু আমার যত দুর মনে আছে আমি যখন ওর সাথে রাতে ছিলাম ওতো সম্পূর্ন ঠিক ছিল। তাহলে..
.
আমি ছোঁয়া কিছু বলতে যাব তখনি আব্বু বলে উঠল..
.
আব্বুঃ ছোঁয়া সাথে এসব তুই কি করেছিস??
.
আমিঃ তুমি কি আবার করেছি ওর সাথে?? আর ছোঁয়া তোমার এ অবস্থা কি করে হল??
.
.
উওরে ছোঁয়া যা বললো তাতে আমি আকাশ থেকে পড়লাম। কারন ও বলতে লাগল যে..
.
ছোঁয়াঃ আমার এ অবস্থা কি মানে আপনি আমাকে বলছেন। রাতে খুব ভালো মানুষের মত আমাকে ঘুম থেকে তুললেন কি যেন একটা কথা বলবেন বলে। কিন্তু তারপর আপনি সারা রাত জোর করে ছিড়ে ছিড়ে
খেয়েছেন। আমি যাতে কারো কাছে সাহায্য না নিতে পারি সে জন্যে আমার মুখটা পর্যন্ত বন্ধ করে দিলেন। আর এখন সাধু সাজছেন।
.
আমিঃ ছোঁয়া তুমি এসব কি বলছো।তুমিই আমাকে.. ঠাসস ঠাসস
.
আব্বুঃ ছি তুই এতটা খারাপ হয়েছিস। তুই কি ভাবে এই ফুলের মত মেয়েটার সাথে এসব করতে পারলি।
.
আমিঃ আব্বু আমি মানছি যে ওর আর আমার মধ্যে কিছু হয়েছে। তবে সেটা আমি করতে চাই নাই। ছোঁয়াইতো আমাকে.
.
আম্মুঃ ঠাসসস ঠাসসস..
.
.
খালাঃ দেখছিস আপা তোর এই চরিত্রহীন ছেলে আমার মেয়ের সাথে এসব করে। এখন আমার মেয়ের নামে বাজে কথা বলছে।
.
আম্মুঃ তুই একটু চুপ কর আমিতো আছি।
.
খালাঃ চুপ করে থেকে আমার কি মেয়েটার সাথে যা হয়েছে তা ঠিক হয়ে যাবে। এখন কোন ভালো পরিবারে আমি আমার মেয়েকে বিয়ে দিতে পারবে বা ওকে কেউ বিয়ে করবে।
.
আম্মূঃ তোর মেয়ের বিয়ে হবে। আর তা আজকেই। সানি যখন দোষ করেছে তখন ছোঁয়া বিয়ে করতে হবে। আর আজীবন ওর সাথে সংসার করবে।
.
তখনি ছোঁয়া বলে উঠল
ছোঁয়াঃ তোমরা আমাকে ওর সাথে বিয়ে দিচ্ছ দাও কিন্তু আমি ওর সাথে এক ছাদের নিচে থাকতে পারব না। কারন ওশুধু আমার জীবন নয় আরো অনেক মেয়ের জীবন নষ্ট করেছে। এরকম ছেলের সাথে আমি এক বাড়ীতে থাকতে পারব না।
.
আব্বুঃ এসব তুমি কি বলছ ছোঁয়া?
.
ছোয়াঃ আমি সত্যি কথা বলছি। আর আমি এর প্রমান দিতে পারব। এই দেখ এই ছবি গুলো।
.
আমিঃ ছবি গুলো দেখে যেন বোবা হয়ে গেলাম। কি বলব বুঝতেই পারছিনা।
.
আব্বুঃ ঠাসস এগুলো কি? এত গুলো মেয়ের জীবন তুই নষ্ট করেছিস?
.
আমিঃ তুমি বিশ্বাস কর আব্বু আমি ছবির এ মেয়ে গুলোকে চিনি না। আমাকে ফাসানো হচ্ছে।
.
ছোঁয়াঃ কেউ আপনাকে ফাসাচ্ছে না। আমি চাইলে ওদেরকে এ বাড়ীতে নিয়ে আসতে পাড়ব।
.
আব্বুঃ থাক কাউকে ডাকতে হবে না। আগে বিয়েটা দেই তারপর বাকি বিচার হবে।
.
তারপর বাড়ীতে কাজী ডেকে আমাদের বিয়ে
দেওয়া হয়। কাজী চলে যাওয়ার পর আব্বু বলল....
.
আব্বুঃ তোর রুমে তোর যা যা আছে সব কিছু নিয়ে বাড়ী থেকে বেড় হয়ে যা।
.আমিঃ আমি এসব তুমি কি বলছ। আমি বাড়ী থেকে বের হয়ে যাব মানে।
.
আব্বুঃ হ্যা বাড়ী থেকে বের হয় যাবি। কারন আমি তোর মুখ দেখতে চাইনা। আর একটা কথা মনে রাখ ৬মাস পর তুই বাড়ীতে ডিভোর্স পেপার পাঠিয়ে দিবি।
.
.
আমিঃ আম্মু তুমি কিছু বলো আব্বু এসব কি বলছে।
.
.
আম্মুঃ আমার কোন কথা বলার মুখ তুই রেখেছিস। এখনি তুই এই বাড়ী থেকে বের হয়ে যাবি। যদি ভুল করেও তুই আমাদের কে তোর এই পাপিষ্ট মুখ দেখাস তাহলে তুই
আমার মরা মুখ দেখবি। আর তোর আব্বু তোকে ডিভোর্স দিতে যে সময় দিয়েছে তা পাঠানোর একদিন দিনো যেন দেরি না হয়।
.
আম্মুর কথা শেষ হওয়ার আগেই ছোঁয়া বলতে লাগল.
ছোঁয়াঃ না খালা উনাকে আমি ডিভোর্স দিতে পারব না।
.
.
আম্মুঃ এসব তুই কি বলছিস। যে তোর জীবনটা নষ্ট করল তার সাথে মিথ্যা সম্পর্কে জড়ীয়ে থাকবি।
.
.
ছোঁয়াঃ কি করব খালা। মেয়েদের জীবনেতো বিয়ে একবারি আসে। তবে অনেকেই ২য় বিয়ে করে। তবে আমি তা করতে পারব না। আর না ওর সাথে থাকতে পারব না।
.
আম্মুঃ ঠিক আছে তুই যা ভালো মনে করিস। আর তুই এখনো এখানে আছিস। বের হয়ে যা।
.
.
আমিঃ ঠিক আছে চলে যাচ্ছি (কেদে কেদে) তবে যাওয়ার আগে আমি একবার ছোঁয়ার সাথে আলাদা ভাবে একটা কথা বলতে চাই।
.
ছোঁয়াঃ ঠিক আছে আপনি আমার সাথে আসুন।
.
তারপর ওর রুমে যেয়ে আমি বললাম
.
আমিম ছোঁয়া তুমি আমার সাথে এটা কি করলে? আমি এমন কি করেছিলাম যার কারনে আমাকে আমার পরিবার থেকে আলাদা করলে? আমার চরিত্রে মিথ্যা দাগ লাগিয়ে দিলে কেন? এই ভালোবাসা ছিল তোমার (চিৎকার করে)
.
তখন.........
To Be Continue------

# খালাতো বোন যখন বউ
#ক্ষুদে_লেখক
# পর্ব--০৭
ছোঁয়াঃ ঠিক আছে আপনি আমার সাথে আসুন।
.
তারপর ওর রুমে যেয়ে আমি বললাম
.
আমিম ছোঁয়া তুমি আমার সাথে এটা কি করলে? আমি এমন কি করেছিলাম যার কারনে আমাকে আমার পরিবার থেকে আলাদা করলে? আমার চরিত্রে মিথ্যা দাগ লাগিয়ে দিলে কেন? এই ভালোবাসা ছিল তোমার (চিৎকার করে)
.
ছোঁয়াঃ আমি জানতাম তুই এই কথা গুলো
আমাকে বলবি। তাই সব কিছু গুছিয়েই রেখেছি। এই খামটা রাখ এখানে এমন কিছু আছে যা দেখে তুই তোর সব প্রশ্নর উওর পাবি। আর কি যেন বললি ভালোবাসা। হ্যা তোকে আমি খুব ভালোবাসি তোর জন্যে নিজের জীবনটা দিতেও পিছু পা হব না। তাই কাল রাতে আমি আমার সব চাইতে দামি জিনিসটা তোকে তোর বার্থডেতে উপহার দিয়েছি। কিন্তু তোকে ভালোবাসার আগে তোর সাথে ভালোবাসার অভিনয় করেছি। তবে অভিনয় করতে করতে যে তোকে ভালোবেসে ফেলেছিলাম তা বুঝতেই পারি নাই। কিন্তু তুই একটা কথা কি জানিস আমি তোকে যতটা ভালোবাসি ঠিক ততটাই ঘৃনা করি। প্রথমে আমি বুঝতে পারছিলাম না আমি ঠিক করব। এক দিকে ছিল ভালোবাসা আর একদিকে ছিল প্রতিশোধ। অনেক ভেবে আজকে যা করলাম তা অনেক ভেবে চিন্তেই করেছি। কারন তোকে বলে ছিলাম তোকে ছাড়া আর কাউকে বিয়ে করব না। যা রেখেছি। আর একদিকে এক জনকে কথা দিয়েছিলাম তোকে এমন শাস্তি দিব যাতে তুই যত দিন বেচে থাকবি। ততদিন তুই যেন মৃত্যু যন্ত্রনা পাস। আর এ কথাও আমি রেখেছি। কারন তুই তোর মাকে খুব ভালোবাসিস। তুই তাকে ছাড়া কিছুই ভাবতে পারিস না। আর একটা কথা তুই এখন বুঝতে পারবি। যখন পরিবারের কাছে মিথ্যা দোষে দোষি কেউ হয়। তখন সে কতটা অসহায় হবি।
.
.
আমিঃ তুমি এসব কি বলছ আমি কিছুই বুঝতে পাচ্ছি না?
.
ছোঁয়াঃ ঐ যে বললাম তোর সব প্রশ্নের উওর এতেই পাবি। আর যদি কিছু বলার থাকে তো বলতে পারিস। আর যদি না থাকে তাহলে আসতে পারিস।
.
.
আমিঃ না আর কিছু বলার নেই। যে বাড়ীতে কেউ তাদের ছেলেকে আজো চিনতে পারল না। বাড়ী থেকে বেড় করে দিতে পারে সেখানে থাকার চেয়ে না থাকা অনেক ভাল। তবে যাওয়ার আগে একটা কথা বলছি যানিনা এখানে এমন কি কারনে আছে যে যার জন্যে আমার সাথে এমন করলে। যদি এখানে তেমন কিছু না থাকে মানে যে কারনটা এখানে আছে বলছো তা যদি মিথ্যা হয়। তবে তুমি তোমার জীবনের সব চাইতে বড় ভুল করলে। যার মাশল তোমাকে সারা জীবন দিতে হবে। আসি, বেচেঁ থাকলে হয়তো একদিন ঠিক দেখা হবে।
.
হঠাৎ কারো ডাকে ঘোর কাটলো। দেখি চলে এসেছি। বাস থেকে নামলাম। তার সাথে বোরকা পড়া মেয়েটাও। সে চলে য়েতে লাগলো আর আমি দেখতে লাগলাম। আজ নিজেকে প্রশ্ন করছি। মানুষ বড় অদ্ভৃত। সে কথা দিয়ে খুব সহজেই ভুলে যায়। ছোঁয়া তুমি যতই নিজেকে আড়াল করার চেষ্টা করো না কেন আমি ঠিক তুমাকে বুঝতে পরেছি। তুমি হয়ত স্বামী সংসার নিয়ে অনেক সুখে আছো। আমাকে দেওয়া কথা হয়তো ভুলেই গেছো। আর মনে রাখবেই বা কেনো তুমিতো অভিনয় করে ছিলে। তার পরেও দোয়া করি তুমি সুখে থাকো। আর আমি না হয় কষ্ট নিয়েই থেকে গেলাম।
.
.
আজ ৫ বছর পরে সেই চিরো চেনা শহর। কতটা না পাল্টে গেছে। এখানে লুকিয়ে আছে আমার ছেলেবেলা। বন্ধু দের সাথে কাটনো দিন গুলো। আমার জীবনের সুখের দিন গুলো। যার আজ সময়ে মধ্যে চাপা পরে গেছে । শহরটা ধরেছে নতুন রুপ। ঘটেছে নতুন মানুষের আগোমন। চেনা শহরটা আজ অচেনা হয়ে গেছে। আর এই শহরে আধুনিকতার ছাপ পরেছে। আমি হেটে চলছি এই শহরের পথ ধরে। আজ নিয়তি আমাকে আবার এইখানে নিয়ে এসেছে। আমি এইখানে অফিসের দেওয়া একটা বাড়ি উঠবে। আফিস থেকে দেওয়া বাড়ির সামনে দাড়িয়ে আছি। যারে দিকে অন্ধকার নেমে আসেছে। একজন লোক আমার দিকে এগিয়ে আসছে। অন্ধকারের জন্য মুখটা দেখা যাচ্ছে না। লোকটা আমার পাশে এসে বলল......
.
লোকটাঃ আপনি কী সানি?
.
লোকটা কন্ঠটা কেমন যেন চেনা মনে হলো। আমি বললাম.....
আমিঃ হ্যা।
.
লোকটাঃ আমি এখকার কেয়ার টেকার। স্যার আপনার কথা বলে ছিলো। আসুন আমার সাথে।
.
আমি লোকটা পিছে পিছে বাড়ির ভিতরে ডুকে গেলাম। বাড়ির ভিতরে অন্ধকার ছিলো। তাই লোকটা সমস্ত লাইট জালিয়ে দিলো। যখনি লোকটা আমার দিকে ঘুরেছে সে চমকে গেছে আর আমিও। কারন লোকটা আমার বন্ধু রাফি। আমাকে দেখে জাড়িয়ে ধরলো।
.
রাফিঃ কোথায় ছিলি এতদিন? জানিস তোকে কত খুজেছি। একবার আমাদের কথা মনে হয়নি।(কেঁদে কেঁদে)
.
আমি:.......
.
রাফিঃ কি করে কথা বলছিস না কেন?
.
আমিঃ আগে তোর কথাটা শেষ কর। তারপরে তো বলি
.
রাফিঃ চল তোর বাড়ি চল।
.
আমিঃ কার বাড়ি?
.
রাফিঃ তোর বাড়ি।
.
আমিঃ আমার কোনো বাড়ি নেই। আর এটাই এখন থেকে আমার বাড়ি।
.
রাফিঃ তোর বাড়ি থাকতে তুই এইখানে থাকবি কোনো? চল আমার সাথে তোকে দেখে তোর বাড়ির লোক কত খুশি হবে জানিস?
.
আমিঃ না আমার কেউ আছে। না আমার কোনো বাড়ি আছে।
.
রাফিঃ এখনও অভিমান করে আছিস।
.
আমিঃ অভিমান তো কাছের মানুষের উপর করা যায়। আমি কারো উপর অভিমান করে নেই।
.
রাফিঃ তুই অনেক বদলে গেছিস।
.
আমিঃ (শুকনো হাসি দিয়ে) সময় আর পরিস্তিতি সব কিছু বদলে দেয়। আর একটা কথা আমি এইখানে আছি কেউ জানতে না পারে।
.
রাফিঃ তাহলে এইখানে কেনো এসেছি।
.
আমিঃ অন্য কারো জন্য।
.
রাফিঃ কে ছোঁয়া?
.
আমিঃ না।
.
রাফিঃ তাহলে।
.
আমিঃ পরে বলবো। এখন ক্ষিদে লেগেছে। আমার জন্য খাবারে ব্যবস্থা কর। আরে কথাটা জেন মনে থাকে। কেউ যেন জানতে না পারে।
.
রাফিঃ আচ্ছা।
.
তারপর রাফি চলে গেলো খাবার আনতে। আর আমি ফ্রেস হয়ে নিলাম। আমি আর রাফি একসাথে খাবার খেলাম। রাফি বলল আজ আমার সাথে আড্ডা দিবে। রাতে আমি আর রাফি ছাদে বসে আছি তখন রাফি বলল.....
.
রাফিঃ বললি না তে কার জন্য এসেছিস।
.
আমিঃ এইখানে ফির আসার আসার ইচ্ছা আমার কোনোদিনো ছিলো না। কিন্তু ৬ বছর আগে করা ভুলের শুধরানের জন্য ফির আসতে হলো।
.
রাফিঃ কিসের ভুল? আর কার সাথে করেছিস?
.
আমিঃ নিলীমা।
.
রাফিঃ এই নিলাটা আবার কে?
.
আমিঃ আমার প্রথম ভালোবাসা।
.
রাফিঃ প্রথম ভালোবাসা মানে? আমি কিছু বুঝছি না।
.
আমিঃ আমার আর নিলীমার দেখা হয় তখন আমি সব মাএ ইন্টারে পড়ছি। তোরা তো জানিস আমি ইন্টার আমার মামার বাড়ি থেকে করেছি।
.
রাফিঃ হ্যা জানি। তা নিলীমার সাথে তোর পরিচয় হলো কেমন করে?
.
আমিঃ নিলীমা তখন ১০ম শ্রেনিতে পড়তো। তখন আমাদের কথা হত না। কিন্তু রোজ দেখা হত। আমি অনেক বার চেষ্টা করেছি কথা বলতে কিন্তু পারি নি। আর ssc পরীক্ষা শেষে ও নিজের একদিন আমার সাথে কথা বলতে আসে।
.
রাফিঃ তারপর?
.
আমিম তারপর আমাদের রোজ কথা হতো। আমাদের সম্পর্ক ধীরে ধীরে ভালোবাসার রূপ
নিতে থাকে। আমার ইন্টার পরিক্ষার পর আমি ওকে প্রফোজ করি। আমি জানতাম না ও আমাকে ভালোবাসে কিনা। প্রফোজের বদলে ও আমাকে চর মারে।
.
রাফিঃ কেন ও তোকে পছন্দ করতো না??
.
আমিঃ আরে না। ও আমাকে পছন্দ করতো।
.
রাফিঃ তাহলে তোকে চর মারলো কেন?
.
আমিঃ কারন আমি ওকে l love you বলতে দুই বছর লেগেছিলো।
.
আমার কথা শুনে রাফি হাসতে থাকে।
রাফিঃ তা তোদের সমস্যা হলো কেথায় যে ব্রেকাপ করলি।
.
আমিঃ ২ বছর আমার ভালো ভাবেই ছিলাম। আমি তখন অর্নাস ২য বর্ক্ষে ছিলাম। আর ও প্রথম বর্ক্ষে। আমাদের ভালোবাসায় কোনো কমতি ছিলো না। কিন্তু.....
.
রাফিঃ কিন্তু কী?
.
আমিঃ এক কালো ছায়া। এসে আমাদের মাঝে সব কিছু বদলে দেয়া। আমাদের ভুল বুজিয়ে সব কিছু তচনচ করে দেয়। যা আমি সহ্য করতে পারি নি। যার কারনে আমি বাড়ি ফিরে আসি আর এই খানেই ভর্তি হই।
.
রাফিঃ তারপর কি হয়েছিলো??
.
আমিঃ অনেক বছর পরে আজ জানতে পারলাম আমি ভুল ছিলাম। আমাদের সম্পর্ক ভাঙ্গার জন্য মিথ্যা সাজানো হয়ে ছিলো। আর আমার ওইখানেই ফেসে যাই।
.
রাফিঃ কিছু বুজলাম না।
.
আমিঃ আমি আমার জীবনের সমীকরন আজও বুজতে পারিনি তুই আর কি বুঝবি। অনেক রাত হয়েছে। আমি এখন ঘুমাবো।
.
রাফিঃ আচ্ছা আমি তাহলে যাই। কাল কথা হবে।
.
রাফি চলে যাচ্ছিলো তখন আমি বললাম ......
.
আমিঃ কথাটা যেন মনে থাকে।
.
রাফিঃ কোন কথা?
.
আমিঃ আমি যে এই খানে আছি কেউ যেন জানতে না পারে।
.
রাফিঃ ok bro.।
.
রাফি চলে গেলে আমি ঘুমানোর চেষ্টা করলাম।
.
সকাল বোলা পাখিদের ডাকে ঘুম ভাঙ্গে। চারদিকে আকাশটা পরিস্কার হয়ে গেছে। সূর্য় উদয় হচ্ছে। এই শহরের সকালটা আমার বাড্ড চেনা। কারন এইখানেই কাটিয়েছি
জীবনের অনেক গুলো বছর। আজ হয়তোবা শহরটা আমাকে ভুলে গেছে। কিন্তু আমি ভুলিনি। এই শহরে আবার ফিরে আসার কারনটা দুইটা একটা অফিসিয়ালি আর আরেকটা আমার ভুল সুধরানো। তাই ফ্রেস হয়ে ঠিকানা নিয়ে বেরিয়ে গেলাম খুজতে। যার জন্য আবার এই শহরে ফিরে আসা। আমার এই শহরটা চেনা যার জন্য
ঠিকানাটাই পিছাতে অসুবিধা হয়নি। কিন্তু ঐ ঠিকানায় যেয়ে দেখি বাড়ীতে কেউ নেই। বাড়ীর দাড়োয়ানকে ওদের কথা জিজ্ঞাস করতেই বললো বাড়ীর সবাই ছোট মেয়ের শশুড় বাড়ীতে গিয়েছে তার ননদের বিয়েতে।
আমি ওখান থেকে চলে আসি। আর ফুটফাত দিয়ে হাটছি। তখনি কে জেন পিছন থেকে আমার নাম ধরে ডাক দিল। প্রথমে ভাবলাম হয়ত আমার মনের ভুল। আর আমি যে এখানে ফিরে এসেছি তা কেউ জানে না। তাই ওসবে মন না দিয়ে সামনের দিকে হেটেই চলেছি।
.
.
পিছন ফিরে দেখি...........
To Be Continue------

# খালাতো বোন যখন বউ
#ক্ষুদে_লেখক
# পর্ব--০৮
.
আমি ওখান থেকে চলে আসি। আর ফুটফাত দিয়ে হাটছি। তখনি কে জেন পিছন থেকে আমার নাম ধরে ডাক দিল। প্রথমে ভাবলাম হয়ত আমার মনের ভুল। আর আমি যে এখানে ফিরে এসেছি তা কেউ জানে না। তাই ওসবে মন না দিয়ে সামনের দিকে হেটেই চলেছি।
.
ঃ- ঐ সানি দ্বারা বলছি ঐ সানি আমি নাজমুল একটু দ্বারা।
.
আমি নজমুল নামটা শুনেই পিছন ঘূরে দেখি নাজমুল সত্যি এটা হারামিটা আমাকে
চিনল কি করে। নাজমুল আমার সামনে এসে বলল
.
নাজমুলঃ ঐ হারামি তুই এত স্বার্থপর কেন? তোকে কোথায় না কোথায় খুজেছি। আর তুই দিব্যি ঘুড়ে বেড়াচ্ছিস...
.
আমিঃ আরে ভাই থাম থাম একটু। এত প্রশ্ন এক সাথে করলে আমি কোনটার উওর আগে দিব। আর কোনটা পড়ে দিবো।
.
নাজমুলঃ চুপ হারামি একটা কথাও বলবি না। আমাদের কে ভুলে গেছিস তা তো বুঝতেই পারছি।
.
আমিঃ ঐ তোর মুখ বন্ধ কর।
.
নজমুলঃ আমার কথা বাদ দে আচ্ছা তুইত এখন তোদের বাড়ীতে যাবি তাইত।
.
আমিঃ সরি ভাই তুই হয়ত ভুলে গেছিস বর্তমানে আমার নিজের বলতে কোন বাড়ী নেই। তবে অফিস থেকে থাকার জন্যে যে বাড়ি দিয়েছে এখন সেখানে যাব।
.
নজমুলঃ কি বলছিস তুই?? তুই তোদের বাড়ীতে যাবি। আর তোর বাবা মা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছে।
.
আমিঃ তো আমি কি করব।আর একটা কথা মনে রাখ আমার কোন বাবা মা নেই।আর নেই কোন ব...(মনে কষ্ট চাপা রেখে)
.
নাজমুলঃ দেখ যা হবার তা হয়ে গেছে। আর ছোঁয়া......
.
আমিঃ হ্যা জানি। ও ওর স্বামী সংসার নিয়ে সুখে আছে।
.
নাজমুলঃ আর তুই যেটা ভাবসিস...
.
আমিঃ আরে বাদ দেনা। বেশি কথা বলে কিন্তু আমি চলে যাবো। চল আমার সাথে।
.
নাজমুলঃ কোথায়?
.
আমিঃ আমার বাড়িতে। ওইখানে রাফি অপেক্ষা করছে।
.
নাজমুলঃ তারমানে রাফি জানে তুই এসেছি। আর আমাকে বলল না।
.
আমিঃ আমি মানা করেছি। এখন চলনা অনেক দিন আড্ডা দেইনা।
.
তারপর আমি আর নাজমুল আমার অফিস থেকে দেওয়া বাড়িতে গেলাম। সেখানে দেখি রাফি আমার জন্য অপেক্ষা করছে। তিন জনে আড্ডা দেওয়া শুরু করলাম তখন রাফি
বললো
.
রাফিঃ সানি তুই নিলীমার কথাটা পুরো বলিসনি।
.
নাজমুলঃ নিলীমাটা কে?
.
তারপর নাজমুলকে সব বললাম। তখন নাজমুল বলল
নাজমুলঃ এতদিন তুই কোথায় ছিলি, কি করছিলি কিছুই বললি নাতে।
.
আমিঃ জীবন কাকে বলে আমি এইখান থেকে চলে যাওয়ার পর বুঝতে পেরেছি। জীবন যুদ্ধ কাকে বলে তা বুঝেছি।
.
.
তারপর আমি বলতে শুরু করলাম বাড়ি থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর কোথায় যাব কি করব বুঝতে পাচ্ছি না। পকেটেও কোন টাকা নেই যে
কিছু একটা করব। হঠাৎ করেই হাতে থাকা মোবাইল ফোনটার দিকে তাকিয়ে ভাবতে লাগলাম যদি ফোনটা বিক্রী করি তাহলে কিছু টাকা হাতে পাব। কিন্তু যদি মোবাইলটা বিক্রি করি তাহলে তো কারো সাথে যোগাযোগ করতে পারব না। না কারো সাথে কোন যোগাযোগ রাখব না। সবার থেকে অনেক দুরে চলে যাব। যাতে কেউ চাইলেও আমার সাথে কোন যোগাযোগ না রাখতে পারে। তাই আমার এই মোবাইল ফোনটা বিক্রি করতে হবে। আর সেই সাথে সিমটাও ভেজ্ঞ ফেলতে হবে। তারপর অনেক চেষ্টা করলাম মোবাইলা বিক্রি করতে। কিন্তু কেউ কিনতে ই চায়না। অবশেষে ১০হাজার টাকার মোবাইল মাত্র ৩ হাজার টাকায় বিক্রি করি। তারপর পকেটে থাকা সিমটা ভেজ্ঞে ফেলি। আর ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেই। ঢাকা এসেও বিপদে পড়লাম কোথায় যাব কি করব বুঝতেই পারছিনা। রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছি কিন্তু কি করব বুঝতেই পারছি না। যদি কোথাও ঘর ভাড়ার জন্যে যাই তো বলে বেচেলরদের ঘর ভাড়া দেওয়া জাবেনা। কথায় বলে না অভাগা যে দিকে যায় সাগরও সে দিকে সুকায়। যখন কোথাও ঘর ভাড়া পেলাম না তখন বাধ্য হয়ে মোটা মুটি দেখতে একটা ম্যাচে উঠলাম। তারপর এখান কার বড় ভাইদের সাথে পরিচিত হই। তারা আমার পরিবারের সম্পর্কে জানতে চাইলে বাড়ীতে কে কে আছে সব বলি। কিন্তু বাড়ীতে আমার সাথে কি হয়ে তা কাঊকেই বলি নাই। কারন এতে তারা আমাকেই খারাপ ভাববে। কি কাজ করবো কিছুই ভেবে পাচ্ছিলাম না। কারন তখন রেজাল্টতাও পায়নি যে চাকরি করবো। তাই ওনাদের কাছে বলি যদি তাড়া একটা কাজের ব্যবস্থা করে দেয় তাহলে ভালো হতো।তখন ওদের মধ্যে আনোয়ার নামে এক বড় ভাই আমাকে একটা কাজের ব্যবস্থা করে দেয়। জীবন চলতে থাকে
.
তার কয়েক মাস পর যখন রেজাল্ট তখন একটা চাকরি পাই। চাকরি পাওয়ার পর জীবনটা একটু পাল্টে যায়। কোম্পানি থেকে থাকার জন্যে একটা বাড়ী দেয়। তাই ম্যাচ থেকে সেই বাড়ীতে উঠি। তবে সাথে আনোয়ার ভাইকেও সাথে নেই। কারন আমার বিপদের দিন এই মানুষটা আমাকে সাহায্য করেছে। আনোয়ার ভাই আমার সাথে ২ বছর ছিল। পড়ে তিনি তার গ্রামের বাড়ী চলে যায়। আমাকে আনোয়ার ভাই অনেক সাহায্য করেছে। সে না থাকলে আমি হয়তে এইখানে পৌছাতে পারতাম না। জীবন থেকে কিভাবে আরও ৩ টা বছর কেটে গেলো বুঝতেই পারলাম না। কারন আমি ব্যস্ত ছিলাম নিজেকে গড়ার জন্য। নিজেকে সব সময় মানুষের আড়ালে লুকিয়ে রাখতাম। যাতে কষ্ট গুলোর কথা মনে না হয়। একদিন অফিসে বসে কাজ করছিলাম। তখন পিয়ান এসে বলল যে বস আমাকে ডাকেছে। তাই আমি তার কেবিনে যাই। সেইদিন হয়তো আমার জীবনের ভালো দিন ছিলো। তাইতো আমার জমে থাকা অনেক প্রশ্নের উত্তর পাই। সেইদিন বসের কেবিনে এমন একজন কে দেখি যে আমার সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করেছিলে। যে আমার সব কিছু কেড়ে নিয়ে ছিলে। সেই কেবিনে ডুকার পর স্যার
বলল.....
.
স্যারঃ আরে সানি তোমার কথাই বলছিলাম। আমার জামাই বাবাজির সাথে।
.
আমিঃ তা স্যার কি জন্যে আমাকে ডেকেছিলেন??
.
স্যারঃ আমি কিছু দিনের জন্যে বাহিরে যাচ্ছি। তাই অফিসের সব কাজ ওর হাতে তুলে দিতে চাই। আর আমি আসা করি তুমি ওকে সাহায্য করবে।
.
আমিঃ স্যার আপনিইইই...
.
কিছু বলতে যাব তখনি স্যারের জামাই আমার দিকে তাকালে আমি বড় ধরনের শক খাই। কারন ছেলেটা সুমন ছিল। আপনারা হয়ত ভাবছেন এ সুমনটা আবার কে?? তাহলে শুনুন এই সুমন এক সময় আমার খুব ভাল বন্ধু ছিল। তাই ওর সাথে আমি আমার সব কথাই শেয়ার করি।কিন্তু ও আমার বন্ধুত্বের মর্যদা না দিয়ে পিছন থেকে আমার কলিজায় আঘাত করে। আপনারা হয়ত এটা ভাবছেন পিছন থেকে কি এটাও সম্ভব। তাহলে আমি বলব যে আপনার সবচাইতে কাছের মানুষ হবে আর সে যদি আপনার সাথে চিট করে তখন তার ব্যাথা বুঝতে পারবেন।
.
সুমনকে উদ্দশ্যে করে বললাম....
ঃ একি তুই এখানে কেন??
.
তখন স্যার বলতে লাগল..
স্যারঃ সানি তোমার সাহস কি করে হলো আমাকে তুই করে বলার।
.
আমিঃ সরি স্যার আপনাকে কথাটা বলি নাই। আমি আসলে..
.
আমাকে থামিয়ে সুমন বলে
উঠল..
ঃ বাবা সানি আপনাকে কথাটা বলে নাই। আমাকে বলেছে।
.
স্যারঃ ওহ। তাহলে সুমন তোমরা কি আগে থেকেই একে অপরকে চিনতে।
.
সুমনঃ হ্যা অনেক আগে থেকে। কারন আমরা দুই জন খুব ভাল বন্ধু..
.
ওকে থামিয়ে আমি বললাম
ঃ সরি মি.সুমন আমি আপনাকে আমার জীবনে এই প্রথম দেখলাম। আর বন্ধুত্ব তো আর অনেক পরের কথা। আর স্যার আমি আপনার কাছে প্রথমেই মাপ চেয়ে নিচ্ছি। কারন আমি আপনার কথা রাখতে
পারব না।
.
স্যারঃ তুমি কি বলছ তুমি আমার কথা রাখতে পারবে। তুমিতো কখনো আমার কোন কথায় অমত বা না কর নাই। তাহলে
যেখানে আজকে তোমার প্রয়োজন সেখানে তুমি আমার কথার অবহেলা করছ??
.
.
আমিঃ স্যার আপনি আগে আমার কথাটা একটু শুনুন। আমার কিছু দিনের জন্যে ছুটি লাগত। কিছু দিন থেকে নিজেকে খুব একা একা মনে হচ্ছে আর কাজেও মন লাগছে না।
.
সুমনঃ মন খারাপ ,কাজে মন লাগছে না এসব কি আজও সত্যি নাকি তুই আমাকে দেখে এসব অজুহাত দিয়ে এখান থেকে পালাচ্ছিস।
.
আমিঃ সরি স্যার আপনাকে দেখে পালাব কেন?? আমি চোর,ডাকাত নাকি কোন খুনি যে আপনাকে দেখে পালাব। আর আমি পালাতে শিখি নি।
.
সুমনঃ তোর এই স্বভাবটা এখনো বদলালো না। যাইহোক তুইকি আজও আমাকে মাপ করতে পারিস নাই।
.
.
আমিঃ সরি আপনি হয়ত এটা জানেন না যে কোন অপরিচিত মানুষকে বিনা কারনে ক্ষমা তাকে কিছু বলতে পারে না। আর এটা একটা অফিস অযথা এসব কথা না বলাই ভাল নয় কি?
.
.
স্যারঃ তোমরা কি বলছ এসব কিছুই বুঝতে পারছি না জামাই বাবাজি বলছে ও তোমাকে চেনে তুমি বলছ চেন না। আবার ও মাপ করার কথা বলছে এসব কি?
.
আমিঃ ওসব কিছু না স্যার।
.
সুমনঃ কি কিছু না। আমাদের এতদিনের বন্ধত্ব কি করে তুই ভুলতে পারিস। মানছি আমি একটা ভুল করেছি। তাই বলে কি আমাকে মাপ করা যায় না। যদি মাপ করতে নাই করতে পারিস। তোকে আমাদের পুরানো
বন্ধুত্বের কসম এত দিন পর যখন দেখা হল। একটুতো ভালো করে যদি মাপ করতে নাই করতে পারিস। তোকে আমাদের পুরানো বন্ধুত্বের কসম এত দিন পর যখন দেখা হল। একটুতো ভালো করে কথা বল।
.
.
আমিঃ তোর মত বিশ্বাস ঘাতকের মুখে বন্ধুতো নামক কথাটা মানায় না। তোর কাছে ওটা একটা মাএ ভুল মনে হয়। যার জন্য আমার জীবন লন্ঢ-বন্ঢ হয়ে গেছে। যে তার বন্ধুর ভালোবাসার মানুষকে বিয়ে করতে পারে।
.
তখনি স্যার ও মেয়েটা চমকে উঠে বললো..
.
মেয়েটাঃ এসব আপনি কি বলছেন? আমি আপনাকে কোন দিন ভালবাসতে গেলাম! আপনি কি আমার সংসার ভাঙ্গতে চাইছেন??
.আমিঃ সরি আমি কখন বললাম আপনি আমাকে ভালোবাসেন বা আমি আপনাকে।
.
মেয়েটাঃ আপনি এখনি বললেন তো।
.
আমিঃ হ্যা বলছে তবে আপনি তো ওর বউ নন। ওর বউতো নিলীমা।
.
মেয়েটাঃ আমিই ওর বউ। আর এ নিলীমা টা আবার কে?? এই নামেতো আমি কাউকে চিনি না বা এনাম তো ওর মুখে শুনি নাই।
.
.
আমিঃ কি বলছেন এসব আপনি ওর বউ মানে। (অবাক হয়ে) ঐ এ মেয়েটা কি বলছে?
এ মেয়েটা তোর বউ মানে। তাহলে তুই দুইটা বিয়ে করেছিস। আর এটা এদের থেকে লুকিয়ে রেখেছিস। ছি তুই এতটা খারাপ।
(সুমনকে বললাম)
.
সুমন কিছু বলছে না মাথা নিচু করে আছে।
আমিঃ অবশ্য এটা আবার নতুন কি তোর যে চরিত্র এতে এটাই স্বাভাবিক।
.
মেয়েটাঃ এই যে আপনি আমার বরের নামে
এসব কি বলছেন। আমার বরের চরিত্র
খারাপ। আপনি আমাদের কর্মচারি তাই আপনি কর্মচারির মতোই থাকুন।
.
আমিঃ তাইতো থাকতে চেয়ে ছিলাম। কিন্তু আপনার এই গুনধর বর আমাকে যদি আমার বন্ধুত্বের কসম না দিত। তাহলে কিছুই বলতাম না।
.
আমি সুমন কে বললাম
.
আমিঃ তোকে একটা কথা বলব তুই কি ঐ চরিত্রহীন মেয়েটাকে কি ছেড়ে দিয়েছিস। যাক ভালোই করেছিস।
.
সুমনঃ তুই আমাকে যা ইচ্ছা বল আমি কিছু বলব না। দয়া করে ওকে চরিত্রহীন বলিস না।
.
আমিঃ চরিত্রহীন কে চরিত্রহীন বলব নাতো কি বলব। ও আমাকে ঠিকিয়েছে।
.
মেয়েটাঃ ঐ তোমার তাতে কি। উনি ঐ নিলীমা নামে যাই বলুক না কেন এতে তোমার কি?
.
সুমনঃ আমারি তো সব। আমার তৈরি করা একটা মিথ্যা নাটকের কারনে এমন কিছু একটা ঘটেছে। যা আমাকে আজও কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে।
.
মেয়েটাঃ মানে কি এমন করেছ যা..
.
মেয়েটাকে থামিয়ে দিয়ে সুমন বলল
ঃ বলব আজ সব সত্যি কথা বলব। আমার একটা মিথ্যা মোহের কারনে আজ আমি আমার সব চাইতে ভালো বন্ধুর কাছে অপরাধি। ওর ভালোবাসার মানূষের কাছে অপরাধি।
.
তখন সুমন আমাকে বলল....
ঃ দোস্ত তুই আমাকে মাপ করে দিস। সব দোষ আমার। নিলীমা কোনো দোষ নেই। তুই নিলীমা খারাপ চরিত্রহীন মেয়ে বলিস না।
.
আমিঃ মানে আমি কি বুজছি না
.
সুমন বলতে শুরু করলো..
ঃ যে দিন তুই আমার সাথে নিলীমা পরিচয় করে দিয়ে ছিলি ঐ দিন আমি ওকে দেখে ওর রুপের প্রেমের পরে যাই। তাই আমি সব সময় চেয়ে ছিলাম তোদের দুজনকে আলাদা করে দিতে। যাতে তোর জায়গা যেন আমি নিতে পারি। কিন্তু আমি কিছুতেই আলাদা করতে পারছিলাম না। যখন দেখলাম তোদের কে এত সহজে আলাদা করা যাবে না তখন আমি খুব জঘন্য একটা পরিকল্পনা করে তোদের আলাদা করার জন্য। আর আমি এই পরিকল্পনায় সফল হই।
.
আমিঃ মানে এই সব কিছু মিথ্যা ছিল ?
.
সুমনঃ হ্যা সব আমার সাজানে ছিলে। তোদের আলাদা করার জন্য।
.
সুমন আবার বলল
ঃ তোদের কে আলাদ করার জন্য আমি প্রথমে নিলীমার কাছে তোর আর একটা মেয়ের ইডিট করা এমন কিছু ক্লোজ ছবি পাঠিয়ে দেই। আর নিলীমাকে বলি তুই ওকে ধোকা দিচ্ছিস। পরে আমার সাথে নিলীমা কিছু ছবি ইডিট করে তোর কাছে অন্যের মাধ্যমে পাঠিয়ে দেই। এতে তোরা আমার প্লান মত দুজন দুজনকে ভুল বুঝিস। আর তোকে এটাও বলি যে আমার সাথে নিলীমার বিয়ে ঠিক হয়েছে। আর তুই যখন রাগ করে নিলীমার ঐ ছবি গুলো নিয়ে গিয়ে ওর বাবার সামনে ওকে অপমান করে আসিস তখন ওর বাবাও ওকে অপমান করে।
.
আমিঃ তার মানে নিলীমা নিদোশ ছিলো।
.
সুমনঃ হ্যা।
.
সুমনে এই কথাটা শুনার পর আমার বুকের ভেতর মনে হচ্ছে সব কিছু ভেঙ্গে যাচ্ছে। আর মনে হচ্ছে আমি এত বড় ভুল কি করে করলাম। যাকে ভালোবাসলাম তাকে চিনতে পারলাম না। কি করে আমি এত বড় ভুল করলাম।
.
আমি তখন সুমনকে জিঙ্গাসা করি...
ঃ নিলীমা এখন কোথায়?
.
সুমনঃ যে দিন তুই ওদের অপমান করিস তখন নিলীমাকে এটা মনে করে যে তুই নিজেকে ভালো সাজানোর জন্যে ওকে ওর পরিবারের কাছে খারাপ প্রমানিত করছিস। যাতে তুই অন্য কাউকে তোর জীবনে আনতে পারিস। আর ও এসব মানতে না পেরে... ( বলেই চুপ করে আছে)
.
আমিঃ কি হলো বলছিস না কেন? নিলীমা কি করে ছিলো? তারপর কি হয়েছিল?
.
.
সুমনঃ নিলীমা এই সব মানতে না পেরে আত্নহত্যা করেছে।
.
.
সুমনে এই কথাটা শুনার পর আমার পা টা মনে হয় আটকে গেছে। পুরো পৃথিবী যেন অন্ধকার হয়ে আসছে। আমি কিছুতেই তাই মানতে পরলাম না নিলীমা আর নেই। যাকে আমি এত দিন যে কারনে ঘৃনা করে এসছি সেই আর নেই। সে যে না ফিরার দেশে চলে গেছে। আমার সারা শরীর জ্বলে উঠলো। সুমনের জন্য আমি ওকে হারিয়েছি। তাই আমি সুমনকে মারতে শুরু করলাম। তখন সুমন বলল........
To be Continue------
আগের পর্বগুলো আমার টাইমলাইনে দেওয়া আছে। লাইক কমেন্ট করে সাথেই থাকুন 💝
# খালাতো বোন যখন বউ
#ক্ষুদে_লেখক
# পর্ব--০৯
.
সুমনঃ নিলীমা এই সব মানতে না পেরে আত্নহত্যা করেছে।
.
সুমনে এই কথাটা শুনার পর আমার পা টা মনে হয় আটকে গেছে। পুরো পৃথিবী যেন অন্ধকার হয়ে আসছে। আমি কিছুতেই তাই মানতে পরলাম না নিলীমা আর নেই। যাকে আমি এত দিন যে কারনে ঘৃনা করে এসছি
সেই আর নেই। সে যে না ফিরার দেশে চলে গেছে। আমার সারা শরীর জ্বলে উঠলো। সুমনের জন্য আমি ওকে হারিয়েছি। তাই আমি সুমনকে মারতে শুরু করলাম। তখন সুমন বলল....
.
সুমনঃ হ্যা করেছিলো। কিন্তু....
.
তখন সুমনের বউ বলল..
ঃ ছি তুমি এতটা নিচ চরিত্রহীন। তোমার স্বার্থের কারনে আজ একটা মেয়েটা মারা গেছে। আর দুই জন প্রেমিক প্রেমিকা একে অপরকে ভুল বুঝে এত দুরে চলে গেছে যে চাইলেও আজ কেউ এক হতে পারবেন। আর আমি সেই তোমাকে র্নিস্বার্থ ভাবে ভালোবেসে গেছি। আজ তোমার এই মহান গুন দেখেতো আমার মরে যেতে ইচ্ছা করছে। নিজের উপর ঘৃনা হচ্ছে। আমার সব ফ্রেন্ডদের কাছে তোমার নামে কত ভালো ভালো কথা বলতাম। আর সেই তুমি একটা খুনি বের হলে।(কেদে কেদে বলছে)
.
সুমনঃ আমি কাউকে খুন করি নি।
.
মেয়েটাঃ কি বললে খুন কর নাই। তোমার কারনে আজ একটা মেয়ে আমাদের মাঝে নাই। আর তার থেকেও বড় কথা তুমি তাদের বিশ্বাস ভালোবাসার সম্প্রর্কে খুন করেছে। আর তুমি হয়ত এটা জাননা যে আমার কাছে কেউ যদি বিশ্বাস আর ভালোবাসার সম্পর্ক
নষ্ট করে সে খুনি থেকে কম কিছু না। আর এখন তো আমার এটা সন্দেহ হচ্ছে তোমার সাথে আমার বিয়ে হওয়ার পর এমন অনেক কিছুই হয়ত করেছ। যা আমার এখনো অজানা।
.
.
সুমনঃ আমি মানছি ওদের ভালোবাসার পথে আমি কাটা হয়ে দাড়ীয়ে ছিলাম। আর তখন যা করেছি মিথ্যা আবেগের কারনে। কিন্তু আমি সত্যি তোমাকেই ভালবাসি। আর নিলীমা আত্নহত্যা করতে গেছিল। কিন্তু করতে পারে নি। আর ও এখনো বেঁচে আছে। কিন্তু..
.
আমিঃ কি নিলীমা বেঁচে আছে। আর তুই যে আগে যে বললি ও মারা গেছে। আবার সেই সাথে কিন্তুও যোগ করছিস।আমি তো কিছুই বুঝতে পারছি না।
.
সুমনম হ্যা ও বেঁচে আছে কিন্তু এ বেঁচে থাকা আর মারা যাওয়ার মাঝে কোন তফাৎ নেই। কারন ও আজ ৬ বছর ধরে কোমায় আছে। ডাক্তার বলেছে ও কোন দিনও কোমা থেকে বের হতে নাও পারে। আর আমার জানা মতে ডাক্তার যখন ওর শেষ ট্রিটমেন্ট করেছে। এরপর হয়ত...
.
আমিঃ না ওর কিছু হতে পারে না। আমি বেঁচে থাকতে ওর কিছু হতে পারে না। ওকে ভুল বুঝে ওর সাথে আমি যে অন্যায় করেছি তার ক্ষমা না পাওয়া পর্যন্ত ওর কিছু হতে পারে না। আচ্ছা একটা কথা বলত তুই এত কিছু কি করে যানলি যে ওর হাতে বেশি সময় নেই।
.
সুমনঃ আমার কারনে যাদের এত কিছু হল তাদের খবর আমি রাখব না এটা হতে পারে। আর আমি এটাও জানি তোর সাথে কি হয়েছে। তোর সাথে যা হয়েছে তা খুব খারাপ হয়েছে। আমি জানি তুই এসব করতে পারিস না।
.
আমিঃ ওসব পুরানো কথা বাদ দে আগে বল নিলীমা কোথায় আছে??
.
সুমন:হ্যা জানি ওরা কোথায় থাকে। ওরা তোর এলাকাতেই থাকে।
.
আমিঃ তুই সত্যি কথা বলছিস তো।
.
সুমনঃ হ্যা আমি সত্যি কথা বলছি।
.
আমিঃ তাহলে আমি আজকেই আমাদের ওখানে চলে যাব।
.
স্যারঃ কি বলছ তুমি চলে গেলে ওকে অফিসের কাজ কে বুঝে দিবে। আর...
.
আমিঃ স্যার আপনি আমাকে মাপ করবেন। আপনার অফিসের থেকে এখন ওখানে যাওয়া আমার কাছে সব চাইতে বেশি দরকার। আর
দরকার হলে আমি এ চাকরিটা ছেড়ে দিতেও
পারি।
.
সুমনঃ বাবা ওকে আটকাবেন না। আমার জন্যে ও ওর জীবনের অনেক মুল্যবান কিছু হারিয়েছে। হয়ত আমার জন্যেই ও ওর পরিবারকে হারিয়েছে।
.
স্যারঃ কিন্তু..
.
সুমনঃ কোন কিন্তু নয়। আপনি আমার একটা কথা রাখবেন আমাদের যে কোম্পানির শাখাটা ওদের জেলায় আছে সেখানে ওর ট্রান্সফার করে দিবেন।
.
স্যারঃ ঠিক আছে। তুমি যেটা ভালো মনে কর।
.
মেয়েটাঃ হ্যা বাবা ঐ ব্যবস্থাই কর। আর তোমার সাথে আমার কথা আছে আগে বাড়িতে চল।
.
.
আমিঃ আপনি ওকে কিছু বলবেন না। আমিতো ওকে মাপ করে দিয়েছি।
.
মেয়েটাঃ সেটা আপনার ইচ্ছা কাকে ক্ষমা করবেন কি না। তবে তুমি মনে রেখ মেয়েটার যদি কিছু হয়। তাহলে তোমার আর আমার সম্পর্ক তখনি শেষ হয়ে যাবে।
.
সুমন কিছু বলছেনা মাথা নিচু করে আছে। তারপর আমি ঐ দিনই বাড়ীর উদ্দেশ্যে রওনা দেই। আর আমার ফিরে আসার কারণ হলো এটাই।
.
রাফিঃ তা না হয় বুজলাম। তুই ওই ঠিকানাই গিয়ে ছিলি।
.
আমিঃ গিয়ে ছিলাম। কিন্তু বাড়িতে কেউ ছিলো না।
.
তখন ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি অনেক সময় হয়ে গেছে। তখন আমি ওদের বললাম....
ঃ আরে অনেক সময় হয়ে গেছে আমার আবার কাজে যেতে হবে।
.
তখন নাজমুল বলল....
নাজমুলঃ সানি তোকে একটা কথা বলার ছিলো।
.
আমিঃ বল কি বলবি।
.
নাজমুলঃ তুই কি সত্যি তোর কারো পরিবারে সাথে দেখা করবি না। আর ছোঁয়ার সাথেও দেখা করবি না।
.
আমিঃ সবার জন্য পরিবার হয় না। আমি আর ছোঁয়ার সামনে যেতে চাই না। আমি চাই না আমার জন্য ওর বর্তমানটা খারাপ হোক। বাদ না ওই সব।
.
রাফিঃ আজ রিয়ার বিয়ে।
.
নাজমুলঃ তুই না বলতিস তুই রিয়ার বিয়ে নিজের হাতে দিবি। রানি মতো করে সাজাবি
। আজ যাবি না।
.
আমি কিছু বলিনি চুপ করে ছিলাম।
ঃ আচ্ছা আমার এখন যাই।
.
রাফি আর নাজমুল চলে গেলো। আজ রিয়ার বিয়ে আমিতো জানি না। আজ আমার সেই ছোট বোনটার বিয়ে। সে আজ কত বড় হয়ে গিয়েছে কে জানে। আর বধু সাজে তাকে কেমন দেখা যাচ্ছে। খুব দেখতে ইচ্ছা করছে। কিন্তু আমি যে আমার বোনের কাছে এক আজ অপরাধী। সে শুধুই যে আমাকে ঘৃনা করে। আজ তোকে অনেক মিস করছি। কিন্তু আমার নিয়তি এত খারাপ যে একই শহরে থাকার পরেও আমার বোনের বিয়েতে যেতে পারবো না।
.
আজ অফিসে প্রথম দিন তাই সবার সাথে পরিচয় হয়ে নিলাম। তারপর কেবিনে গিয়ে সব কিছু বুজে নিলাম। অফিস শেষে বাসায় ফিরছি। অনেক দিন ধরে শহরের অলি গলি দিয়ে হাটা হয় না। আগে তো সারা দিন-রাত ঘুরে বেড়িয়েছি। আজ আগে মতো ঘুরে বেড়াতে ইচ্ছা হচ্ছে। তাই অফিসের গাড়ি পাঠিয়ে দিয়ে হেটে বাড়ি ফিরছি। রাস্তার নাজমুলের সাথে দেখা। তাই ওর সাথে কথা বলছি। হঠাৎ আমার চোখ আটকে গেলো। আর আমি দৌড়াতে শুরু করলাম। আর আমার সাথে নাজমুলও।
.
নাজমুলঃ কিরে পাগল হলি নাকি এভাবে কেউ দৌড়ায়।(দৌড়াতে দৌড়াতে)
.
আমিঃ কথা বলার এখন সময় নেই। যদি পারিস একটা অটো নিয়ে আয়।
.
নাজমুলঃ কিন্তু কেন বলবিতো।
.
আমিঃ বললাম না পড়ে শুনিস। আগে একটা অটোর ব্যবস্থা কর।
.
তারপর নাজমুর একটা অটো নিয়ে আসতেই। আমি অটোর ড্রাইভারকে বললাম চাচা সামনের অটোকে ফলো করুন।
.
নাজমুলঃ কি এমন দেখলি যে এভাবে ঐ অটোকে ফলো করছিস।
.
আমিঃ তোর প্রশ্নের উওর আমি পড়ে দিব। এখন চুপ কর।
.
তারপর আমি ওদের ফলো করতে করতে একটা বিয়ে বাড়ীর কাছে আসি।
.
নাজমুলঃ কিরে তুই না বললি তোদের..
.
আমিঃ কার বিয়ে বা কাদের বাড়ী এটা এখন ভাবার বিষয় নয়। তুই এখানে শুধু এটা দেখ এখানে এমন কোন মেয়ে আছে কি না যে হুইল চেয়ারে বসে আছে।
.
নাজমুলঃ ঠিক আছে আমি দেখছি।
.
তারপর আমি ওদের অনেক খুজেও যখন পেলাম না। ভাবছি আমি হয়ত ভুল দেখেছি তখন হঠাৎ চোখ গেল কনে বা বউয়ের ঘরের দিকে। যেখানে মেয়েকে সাজানো হচ্ছে। ওখানে একটা মেয়েকে দুর থেকে নিলীমার মতো দেখতে লাগছে। তাই আমি সিয়র হওয়ার জন্যে কনের ঘরের কাছে যেতেই আমি থমকে গেলাম। কারন এটা আর অন্য কেউ নয় এটাতো আমার সেই জান। যাকে এক সময় না এক সময় নয় এখনো ওকে ভালোবাসি। নিলীমা কে দেখেই আমার পা আটকে গেলো। কেমন দেখতে হয়ে গেছে। চোখের নিচে কালি পড়ে গেছে। আগে ও একটু মোটা ছিলো। যার জন্য ওকে আমি আটার বস্তা বলতাম। আর ও অনেক রাগ করতো। আমাকে ওর রাগ ভাঙ্গতে হতো। আর আজ এক জীবনন্ত লাশের মতো বসে আছে। মুখে সেই আগের হাসি মায়াটা নেই। কোথায় যেন হারিয়ে গেছে। সব আমার জন্য। আমি ওকে ভুল বুঝেছিলাম বলে আজ ওর এই আবস্থা। আমি ধীরে ধীরে ওর সামনে এগিয়ে গেলাম।ওর সামনে গিয়ে বসলাম।
.
আমিঃ এই আটার বস্তা আমার সাথে কথা বলবে না।
.
নিলীমাঃ ....
.
আমিঃ আমি না হয় তোমার উপর অভিমান করে ছিলাম। কারন তুমি যে অন্য কারো হবো তা আমি সহ্য করতে পারতাম না।
.
নিলীমাঃ .......
.
আমিঃ তুমি না বলতে কখন তুমি আমার উপর অভিমান করলে আমি ভাঙ্গাবো। আর আমি করলে তুমি ভাঙ্গবে।
.
নিলীমার শুধু চেয়ে আছে। মুখে কোনো শব্দ নেই।
.
আমিঃ তাহলে যখন আমি অভিমান করলাম তুমি ভাঙ্গাও নি কোনো। উল্টো তুমি অভিমান করে বসে আছো।
.
আমিঃ কি হলো কথা বলবে না। এত অভিমান তোমার। আমি না হয় ভুল করেছিলাম। তা তুমিতো আমার ভুল ভাঙ্গাও নি।
.
চারপাশে লোকজন জমা হয়ে গেছে আমার কান্ড দেখে। অব্যশই জমা হওয়াই কথা বিয়ে বাড়িতো।
.
তখনই পিছন থেকে কেউ বলল......
ঃ এই আপনি কে আরো এইখানে কি করেন?
.
আমি পিছনে তাকিয়ে যা দেখলাম তাতে আমার শরীরে ৪৪০ ভোল্ডের শক লাগলো। আমি বাড়ির চারদিকে ভালোবাবে তাকিয়ে দেখলাম। আরে এটা তো আমার বাড়ি। তার মানে এই বিয়ে বাড়িতে আমার বোনের বিয়ে হচ্ছে। কিন্তু আমার একটাই প্রশ্ন আমার বাড়িতে ও কি করে। ও সোজা এসে আমাকে জাড়িয়ে ধরলো। যা আমাকে আরো অবাক করে দিলে। আমার মাথায় শুধু একটা প্রশ্ন ঘুর পাক খাচ্ছে। আমাকে কোনো জড়িয়ে ধরলো।......
To Be Continue-----
# খালাতো বোন যখন বউ
#ক্ষুদে_লেখক
# পর্ব--১০
.
ঃ কি হচ্ছে এই সব ছারুন আমায়?
.
অনেক কষ্টে ছাড়িয়ে নিলাম। আমার মনে একটা প্রশ্ন ছোঁয়া এই রাড়িতে কোন। পরে মনে হলো ও আজ তো রিয়ার বিয়ে। আর আমি ওকে কিছু বলতে যাব। তখনি কে জেন বলে উঠল..
.
ঃ কি হয়েছেটা কি এখানে। এখানে এত হৈ চৈ কেন। বলতে বলতে আমার দিকে আসতে লাগল।
.
যখন লোকটি আমার সামনে আসল আমি যেন বোবা হয়ে গেলাম। কারন লোকটা আমার বাবা। আর তার পিছনে বাড়ীর সবাই অবাক হয়ে দাড়িয়ে আছে। আব্বুর কথায় আমার ভ্রম কাটে।
.
আব্বুঃ বাবা তুই কখন...
.
আমিঃ (আব্বু থামিয়ে বলতে শুরু করলাম) আপনি আমাকে মাপ করবেন। এখানে আসার ইচ্ছা আমার কোন কালেই ছিল না। নিলীমাকে ফলো করতে করতে যে আপনাদের এখানে এসে পড়ব তা বুঝতেই পারি নাই।
.
আব্বুঃ এসব তুই কি বলছিস। এটা তোর নিজের বাড়ি আর এখানে তুই আসবি নাতো কে আসবে।
.
আমিঃ সরি এটা আমার বাড়ি কোন দিনও ছিল না। আর ভবিষ্যতেও..
.
কিছু বলতে যাব তখনি ছোঁয়া বলে উঠল...
ঃ এসব তুমি কি বল...
.
আমিঃ সরি অাপনাকে তো আমি চিনতে পারলাম না। আর আমি অপরিচিত কারো সাথে কথা বলি না। যাইহোক আমি এখন আসি। আপনাদের এখানে এসে অনেক বড় ভুল করেছি। আপনার মেয়ের বিয়ে ভালোয় ভালোয় হোক এই আশাই করি। আসি..
.
বোন কিছুই বলছে না শুধু চোখের পানি ফেলছে। আজ ওকে অনেক সুন্দর দেখাছে। বধু সাজে আমার বোনটা একদম পরির মতো
লাগছে। আজ অন্তত আমার একটা ইচ্ছা পুরন হলো। তারপর আমি যেই ওখান থেকে আসতে ধরলাম তখনি আম্মু বলে উঠল..
.
আম্মুঃ অনেক বড় হয়েছিস তাই না। আমরা কি তোর কেউ না। আর এ মেয়েটা(ছোঁয়াকে দেখিয়ে) কেউ না। তুই কি অস্বিকার করতে পারবি ছোঁয়া তোর..
.
আমিঃ থাক আমি কিছু শুনতে চাই না। যে জন্যে এখানে আসা তা এখানে আজ হবার নয়। তবে যার জন্যে আসা।(বলেই থেমে
গেলাম) থাক ওসব কথা আমি এখন চলে যাব। আর আশা করি আমার জন্যে আপনার মেয়ের বিয়েতে কোনো প্রকার ক্ষতি হবে না।
.
আমি নাজমুলকে বললাম চল। তখন নাজমুল বলল
ঃ সানি সব অভিমান ভুলে মাপ করে দেনা সবাই কে।
.
আমিঃ অভিমান তো কাছের মানুষের উপর করা যায়। আর আমি কাকে ক্ষমা করবো। কেউতো অপরাধ করে নি। অপরাধী তো আমি। তুই যাবি কি না আমি একাই যাব।
.
আমি সেইখান থেকে সরাসরি বেরিয়ে আসি। তারপর বাড়িতে চলে আসি। রাতে খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ি। পরের দিন খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠি। তারপর ফ্রেস হয়ে খাবার খেয়ে নিলীমাদের বাড়ীর উদ্দেশ্যে বেড়িয়ে পড়ি। আধা ঘন্টা পড় আমি নিলীমা বাড়ীতে পৌছে যাই। ওর বাড়ীতে যেয়ে আমি কলিং বেল বাজাতেই কে যেন দরজাটা খুলে দিল। কে দরজা খুলে দিল তা জানি না। কারন আমি কলিং বেল বাজিয়েই অন্য দিকে ফিরে ছিলাম।
.
ঃ কে আপনি?(মেয়েলি কন্ঠে বলে উঠল)
.
আমি যখন পিছন দিকে ফিরে তাকিয়ে যাকে দেখলাম আমি অবাক হয়ে গেলাম। কারন দরজাটা ছোঁয়া খুলে দিয়েছে। ও খানে কি করছে। আর ও কিভাবে জানল যে আমি আজকেই এখানে আসব। তাহলে কি ও কালকেই কিছু একটা বুঝতে পেড়েছিল যে আমি এখান আসব। কথা গুলো আমি মনে মনে ভাবছিলাম। তখনি ছোঁয়া অবাক হয়ে বলে উঠল..
.
ঃ তুমি এখানে?
.
আমিঃ হ্যা আমি। কিন্তু আপনি এখানে কেন।
.
ছোঁয়াঃ আমি এখানে কেন মানে।এটাতো আমার বাবার বাড়ী।কিন্তু তুমি এখানে কেন।
.
আমিঃ (তাহলে কি আমি ভুল ঠিকানায় আসলাম। কিন্তু তা কি করে হয়। সুমনতো আমাকে এই ঠিকানাই দিয়েছিল) আচ্ছা এটা নিলীমাদের বাড়ী না।
.
ছোঁয়াঃ হ্যা ও আমার বোন হয়। আর তোমাকে তো ঐ খামের চিঠিতে আমি বলেই ছিলাম।
.
আমিঃ মানে কোন চিঠির কথা বলছেন আপনি!!
.
ছোঁয়াঃ কেন যে দিন তোমাকে বাড়ী থেকে..
.
আমিঃ ওহ মনে পড়েছে। কিন্তু আমি ওটা খুলেও দেখি নাই।
.
ছোঁয়াঃ কেন?
.
আমিঃ কারন আমি এমন কোন মানুষের কোন কিছু টার্চ করেও দেখি না। যার জন্যে আমার কোন ক্ষতি হয়। যাইহোক আপনি একটু নিলীমা আর ওর বাবা-মা কে মানে আপনার বাবা মাকে ডেকে দিবেন।
.
ছোঁয়াঃ তুমি আমাকে আপনি করে কেন বলছ। আমিতো তোমার বিয়ে করা বউ।
.
আমিঃ (ওকে থামিয়ে)কারন তুমি করে বলার অধিকার আপনি হারিয়ে ফেলেছেন। আর আপনি কি যেন বলছিলেন আমার বউ আর আপনি। আমাকে হাসালেন। আপনি হয়ত ভুলে গেছেন আপনার সাথে আমার ডিভোর্স হয়ে গেছে। আর একটা কথা ভালো করে মনে রাখবেন আমি এখানে এসেছি শুধু এক জনকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে।
.
ছোঁয়া:কাকে?(অবাক হয়ে)
.
আমিঃ সেটা না হয় পড়েই যানলেন। আগে আপনার বাবা মাকে ডাক দিন তারপর বলছি।
.
তারপর ছোঁয়া ওর বাবা মাকে ডেকে নিয়ে আসে। ওনাদের দেখেই আমি সামাল দিলাম। ওনার সালামের উওর নিয়ে আমাকে বলল
.
ঃ আরে সানি তুমি এখানে আসবে আগে থেকেতো একটা খবর দিবে।
.
আমিঃ আসলে আমি এখানে গতকালও এসেছিলাম। আর আপনারা তো ওবাড়ীতে আমাকে দেখেইছেন।
.
ছোঁয়া বাবাঃ হ্যা তা দেখেছি। কিন্তু তুমি কালকে তোমার পরিবারের সাথে যা করেছ তা কিন্তু অন্যায়।
.
আমিঃ ওসব কথা বলতে আমি এখানে আসি নাই। এখানে আমি একটা গুরুত্বপূর্ন কাজে এসেছি।
.
ছোঁয়া বাবাঃ হ্যা বল কি বলবে। তার আগে তো বস।
.
আমিঃ (সোফায় বসতে বসতে বলতে শুরু করলাম..) আমি এখানে এসেছি শুধু মাত্র আমার স্ত্রীকে সাথে করে নিয়ে যাওয়ার জন্যে।
.
ছোঁয়ার মাঃ তা তোমার স্ত্রীকে তুমি নিয়ে যেতেই পাড়। এতে আমাদের কি করার আছে। তা তুমি ওকে কখন নিয়ে যাচ্ছ।
.
আমিঃ আপনার যদি অনুমতি দেন তাহলে আজকেই সাথে নিয়ে যাব।
.
ছোঁয়া মাঃ ঠিক আছে বাবা। তুমি ছোঁয়া ঘরে যেয়ে রেষ্ট নাও।আমি ছোঁয়া কে ওর কাপর গুছিয়ে নিতে বলছি। আর তুমি আমাদের এখানে আজ প্রথম বার এসেছ। তাই না খেয়ে কিন্তু যাবে না।
.
আমি: তা নয় খেয়ে যাব। তবে ছোঁয়া ব্যাগ প্যাক করবে কেন? (অবাক হয়ে বললাম)
.
ছোঁয়া বাবাঃ এখনি তো তুমি বললে যে তুমি তোমার স্ত্রীকে নিয়ে যাবে। তাহলে...
.
আমিঃ হ্যা আমি মানছি যে আমি আমার স্ত্রীকে নিয়ে যেতে এসেছি। তবে সে ছোঁয়া
নয় নিলীমা।
.
ছোঁয়ার বাবাঃ তুমি কি আমাদের সাথে মজা করছ। নিলীমা কি ভাবে তোমার বউ হবে। তোমার সাথে তো ছোঁয়া..
.
আমিঃ ওর সাথে বিয়ে হয়েছিল। তবে আপনারা কি এটা ভুলে গেছেন যে ওর সাথে আমার ডিভোর্স হয়েছে। আর বাকি থাকল নিলীমা কথা ওর সাথে আমার বিয়ে ৭ বছর আগে হয়েছিল।অবশ্য তা কেউ যানে না। কারন আমরা চেয়েছিলাম পড়া শুনা শেষ করে দুই জনার বাড়ীতে কথাটা বলব। আর যদি বাড়ীর কেউ অমতও হয় তাহলে যেন কেউ কিছু করতে না পারে। কিন্তু মাঝখানে একটা বিশ্রি ঘটনা ঘটে যার কারনে আমরা একে অপরকে ভুল বুঝি।
.
ছোঁয়ার বাবাঃ কি বলছ তুমি এসব আমার বড় মেয়ের সাথে তোমার বিয়ে হয়েছিল আর আমারা কিছুই জানি না।
.
আমিঃ বুঝতে পারছি আপনারা আমার কথা বিশ্বাস করছেন না বা করতে চাইবেন না। আর একটা কথা কিছুতেই বুঝতেছিনা আপনারা কেন বার বার নিলীমা কে নিজের মেয়ে বলছেন।ওর বাবাকে তো আমি একবার দেখেছিলাম। কিন্তু আপনি...
.
ছোঁয়ার বাবাঃ হ্যা এটা সত্য কথা যে নিলীমা আমার মেয়ে নয়। ও আমার বন্ধুর মেয়ে।ওর বাবা ১ বছর আগে আমার হাতে ওর দায়িত্ব তুলে দিয়ে মারা যায়। তখন থেকেই ও আমার আর একটা মেয়ে ।
.
আমি: কি ওর বাবা মারা গিয়েছে মানে? আর কি ভাবেই মারা গেল। (শর্ক খেয়ে বললাম)
.
ছোঁয়ার বাবাঃ হ্যা মারা গেছে। ওসব কথা বাদ দাও তুমি যে নিলীমা নিজের বউ বলে দাবি
করছ। আবার তার প্রমান দিলে। সবি তো বুঝলাম কিন্তু ওকে দেখার মত মানুষ কি তোমার বাড়িতে আছে। যদি কোন অঘটন ঘটে। বলাতো যায় না।
.
আমিঃ আপনি ওসব নিয়ে ভাববেন না। আমি সব ব্যবস্থাই প্রায় করেছি। আর নিলীমাকে দেখে রাখার জন্যে আমি একজন মহিলা কে খুজছি যেন সে নিলীমার সব রকম খেয়াল রাখতে পারে।
.
ছোঁয়ার বাবাঃ ওহ ঠিক আছে।..(ছোঁয়ার বাবাকে থামিয়ে ওর মা বলতে লাগল)
.
ছোঁয়া মাঃ কি ঠিক আজে হ্যা। বাবা সানি তুমি কি এটা যান যে তোমার আর ছোঁয়া ডিভোর্স...(ছোঁয়া ওর মাকে কথার মাঝে থামিয়ে বলতে লাগল)
.
ছোঁয়াঃ মা তোমরা কি শুরু করেছ বলো তো। মানুষটা সেই কখন এসেছে আর তোমারা তাকে কোথায় কিছু খেতে দিবে তা নয় একের পর এক প্রশ্ন করেই যাচ্ছ। (স্বাভাবিক ভাবেই বলছে)
.
ছোঁয়ার বাবাঃ মাপ করে দে মা কথায় কথায় ভুলেই গেছি জামাই অনেক্ষন হলো এসেছে। মা তুই গিয়ে টেবিলে খাবার বার আমরা আসতেছি।
.
তারপর আমরা সকলেই একসাথে খাবার খেলাম। খাবার খাবার পর আমি বললাম.....
.
আমিঃ আঙ্কেল আমি নিলীমাকে কাল বা পরশু এসে নিয়ে যাব।
.
ছোঁয়া বাবাঃ কিন্তু...
.
ছোঁয়াঃ বাবা এখানে কিন্তু আসছে কোথায় থেকে। ও তো ওর বিয়ে করা বউকে নিয়ে যেতে চায়। এতে আমাদের কি করার আছে.........
To Be Continue-----
বিঃদ্রঃ তখনই অনেক কষ্ট লাগে যখন দেখি সকলে গল্প পড়ে লাইক কমেন্ট করেননা।। তাই এই পর্বে আমার প্রোফাইল এ 100 লাইক না হওয়া পর্যন্ত পরের পর্ব দেব না।

# খালাতো বোন যখন বউ
#ক্ষুদে_লেখক
# পর্ব--১১
.
আমিঃ আঙ্কেল আমি নিলীমাকে কাল বা পরশু এসে নিয়ে যাব।
.
ছোঁয়া বাবাঃ কিন্তু...
.
ছোঁয়াঃ বাবা এখানে কিন্তু আসছে কোথায় থেকে। ও তো ওর বিয়ে করা বউকে নিয়ে যেতে চায়। এতে আমাদের কি করার আছে।
.
ছোঁয়ার মাঃ এসব তুই কি বলছিস তোর মাথা ঠিক আছে তো। তুইতো...
.
ছোয়াঃ মা তুমি ওসব ছারো তো। ওসব এখন বলে লাভ নেই।কোন সত্য ঘটনা না জেনেই আমি যা করেছি তার ফলতো আমাকে ভোগ করতেই হবে। এটাই আমার শাস্তি।
.
আমি ওইখান থেকে চলে আসি। তখন ছোঁয়া মা ছোঁয়া কে বলে...
.
ছোঁয়ার মাঃ এই তুই কি করলি। নিজে সব অধিকার ছেড়ে দিলি।
.
ছোঁয়াঃ আমি তো অনেক আগেই সব কিছু নিজের জন্যই সবতো অধিকার হারিয়ে ফেলেছি। আজ আর কি হারাবো।
.
এই কথা বলে ছোঁয়া তার রুমে চলে গেলো। আর কাঁদেতে লাগলো। নিজেই নিজেকে বললো আমি যে সব কিছু শেষ করে দিলাম। শেষ আশা টুকুও হারিয়ে ফেললাম। সেইদিন তোমার সাথে অন্যায় না করলো তোমাকে যে হারাতে হতো না। এত দিন তো তোমার অপেক্ষাতে ছিলাম। যে দিন সুমন ভাই তোমার খোজ দিয়ে ছিলো আমি যে তোমার কাছে গিয়েছিলাম। যখন বাসে তোমাকে দেখে ছিলাম তখন তোমাকে জড়িয়ে ধরতে ইচ্ছা হয়ে ছিলো। তার জন্যই তো তুমি যখন বাসের মধ্য ঘুমিয়ে ছিলে তখন তোমার বুকে মাথা রেখে ঘুমিয়ে ছিলাম। অনেক দিন পরে একটু শান্তি পেয়ে ছিলাম। ভেবে ছিলাম আবার নতুন করে শুরু করবো। তা আর হলো না। কাঁদেতে কাঁদেতে ছোঁয়া ঘুমিয়ে গেলো।
.
তারপরে দিন আমি নিলীমাকে নেওয়ার জন্য গেলাম। ছোঁয়ার বাড়ি থেকে যখন চলে আসবে।
.
তখন ছোঁয়া বলল.....
ঃ আমি তোমার সাথে একা কিছু কথা বলতে চাই।
.
আমিঃ হ্যা বলল।
.
তখন সেই খানে ছোঁয়া বাবা-মা ছিলো। ছোঁয়া একা কথা বলতে চাওয়ায় তারা সেইখান থেকে চলে গেল।
.
তখন ছোঁয়া বলল....
ঃ তুমি একা খেয়াল রাখতে পারবে।
.
আমিঃ খেয়াল রাখার জন্য কাউকে রাখবো।
.
ছোঁয়াঃ সে তে ভালোভাবে খেয়াল রাখতে পারবে না। তাই বলছিলাম কি আমি আসলে তোমার কোন সম্যসা হবে।
.
ও তো নিলীমার ভালো ভাবে খেয়াল রাখতে পারবে। কিন্তু...একটা কথা মনের ভিতর থেকেই যাচ্ছে। ছোঁয়া কি সত্যিই নিলীমার খেয়াল রাখার জন্যে আমার সাথে যেতে চাচ্ছে। নাকি আবার আমাকে কোন বিপদে ফেলার জন্যে এটা ওর কোন পরিকল্পনা। হ্যা তাই হবে হয়ত। না ওকে সাথে নেওয়ার থেকে না নেওয়াই ভালো।
.
ছোঁয়াঃ কি হল চুপ করে আছ কেন?
.
আমিঃ ওহ কি জেন বলছিলেন আপনি?
.
ছোঁয়াঃ বলছিলাম কি যদি আমি তোমার সাথে তোমার বাড়ীতে..
.
আমিঃ লাগবে না। আপনার আমার সাথে যাওয়া লাগবেনা। আমি রাফিকে বলে দিয়েছি। ও এক জন বিশ্বস্ত কাজের লোক দেখছে। যে নিলীমার ভাল করে দেখা শুনা করবে।
.
ছোঁয়াঃ তুমি বুঝতেছ না কেন যে..
.
আমিঃ আমার কারো কোন কথা শোনার ইচ্ছা আমার নেই।
.
ছোঁয়াঃ আচ্ছা আমার একটা অনুরোধ রাখবে।
.
আমিঃ কি?
.
ছোঁয়াঃ এক বার জাড়িয়ে ধরতে দিবে আমায়।
.
ছোঁয়া আমাকে জড়িয়ে ধরলো। আমি কি বলার আগেই আর তা সাথে কান্না করে দিলো। আমি কিছু বুঝলাম না। ছোঁয়া না আমাকে ঘৃণা করে। তাহলে এমন ভাবে কোন কাঁদছে। কতক্ষন এই ভাবে ছিলাম মনে নেই। আমি ওকে ছাড়িয়ে নিলীমাকে নিয়ে চলে আসি। বাড়ীতে এসেই আমি রাফিকে ফোন দিলাম।
.
আমিঃ হ্যালো রাফি।
.
রাফিঃ হ্যা বল কি বলবি।
.
আমিঃ কি বলব মানে?? তোকে না আমি বললাম নিলীমার দেখার জন্যে এক জন মহিলাকে খোজার জন্যে।
.
রাফিঃ পাগল হয়েছিস নাকি এত তাড়াতাড়ি কি ভাবে লোক পাব। যে...
.
আমিঃ তুই যদি না পারিস তাহলে আমি না হয় অন্য কাউকে বলে দেখি।
.
রাফিঃ ....
.
আমিঃ কি হল চুপ করে গেলি কেন? নাকি বোবা হলি।
.
রাফিঃ হ্যা পাব। না মানে পেয়ে গেছি।
.
এটা বলে ফোন কেটে দিলো। কিছুক্ষন পরে আবার কল দিলো। আর বললো একজনকে পেয়েছে। খুব ভালো কাজ করতে পারে। তাই আমি নিয়ে আসতে বললাম। ১ ঘন্টা পরে কলিং বেল বেজে উঠলো। দরজা খুলে দেখে রাফি আর একটা রোরকা পড়া মেয়ে। রাফি ওই বোরকা পরা মেয়েকে দেখিয়ে বলল..
.
রাফিঃ লিমা তোকে যার কথা বলেছি। মেয়েটা খুব ভালো। বাড়ীর সব কিছু নিজের বাড়ীর মনে করেই করবে। মানে নিজের বাড়ী করবে। মানে নিজের বাড়ী মনে করে সব কাজ করবে।
.
আমিঃ ঠিক আছে ঠিক আছে। আর কিছু বলতে চাইনা আর না জনতে চাই। তার থেকে বরং ভিতরে চল। অনেকটা পথ নিলীমা নিয়ে এসেছি। আর তোরাও তো মনে হয় ক্লন্ত হয়েছিস।
.
রাফিঃ তুই ঠিক বলেছিস। যা গরম এখন পড়েছে। এখানে থেকে একেবারে সিদ্ধ হয়ে যাচ্ছি। তার থেকে বরং ভিতরে যাই।
.
আমিঃ তো আমি কি তোদের বাহিরে থাকতে বললাম।
.
রাফিঃ আমি কখন বললাম তুই আমাদের বাহিরে থাকতে বললি?
.
.
লিমাঃ উফ রাফি ভাই আপনারা কি শুরু করলেন বলো তো। হামি সেই কখন থেকে বাইরে দাড়িয়ে আছি। সেদিকে আপনাগো কোন হুশ আছে।
.
.
মেয়েটা গলা কেমন যেন ছোঁয়ার মতো লাগল। তবে মেয়েটা সাধু চলিত সব এক সাথে কথার মাঝে নিয়ে আসছে।
.
.
আমিঃ সরি আপনি ভিতরে আসুন। আর আপনার সাথে কিছু কথা আর আপনার সাথে কিছু কথা আছে।
.
লিমাঃ ঠিক আছে সার।
.
তার পর আমরা ভিতরে এসে মেয়েটাকে আমি বললাম...
ঃ আপনাকে তো রাফি হয়ত সব কিছুই বলেছে। তবে একটা কথা বলছি। আপনি ওর কোন অবহেলা করবেন না। আমি অফিসের কাজে যতক্ষন থাকব। ততক্ষন পর্যন্ত আপনি সব সময় ওর পাশে থাকবেন। ওর যেন কোন অসুবিধা না হয়।
.
লিমাঃ ঠিক আছে সার।এটা আমাকে বলতে হবে না। হামি আপা মনির কাছেই সব সময় থাকব।
.
আমিঃ হুম তাই যেন হয়। আর একটা কথা আপনি আমার পাশের রুমে থাকতে পারেন। আর যদি পারেন একটা ভালো রান্না করার লোক দেখুন। আমি এখান কার রাধুনির খাবার খেতে পাচ্ছি না।
.
লিমাঃ রান্না করা লোক খোজার কোন দরকার নাই সার। আপনি বললে আমি নিজেই রান্না করে দিতে পারি। আমার রান্না মনে হয় না আপনার খারাপ লাগবে।
.
আমিঃ ঠিক আছে। আপনি যখন নিজেই কাজটা করতে চাচ্ছেন এতে আমার কোন অসুবিধা নেই। তাহলে আপনি ফ্রেস হয়ে দুপুরের খাবার রান্না করুন।
.
অতপর লিমা চলে গেল ফ্রেস হয়ে রান্না করতে। আমি রাফি কে বললাম...
.
আমিঃ আর রাফি তুই আজকে তাহলে আমাদের সাথেই দুপুরের খাবার টা খেয়ে নে।
.
রাফিঃ দোস্ত আজকে তুই আমাকে মাপ কর। আজ এখানে খেতে পারব না। অন্য দিন খাব। আমাকে এখনি যেতে হবে। হাতে মাত্র ২০ মিনিট সময় আছে। (বলেই চলে যেতে লাগল)
.
আমিঃ আরে ভাই তুই কোথায় যাবি। যে এত তাড়াহুরা করছিস। তোর অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে জাহান্নামের চৌরাস্তায় যাবি।
.
রাফিঃ তোরে পরে সব বলব। আগে যাইরে ভাই। তা না হলে আমাকে সত্যিই জাহান্নামের চৌরাস্তায় যেতে হবে।
.
কি বললো কিছুই মাথায় ঢুকল না। সব মাথার উপর দিয়ে উড়ে গেল। রাফি চলে যাওয়ার পড় আমি নিলীমাকে ফ্রেস করে নিয়ে আসি। আর আমিও ফ্রেস হয়ে আসি। ফ্রেস হয়ে এসে নিলীমা কে সাজাতে ধরে দেখি ও আগের তুলনায় অনেক রোগা হয়েছে। প্রথমে ওর দিকে ভালো করেই তাকাই নাই। ওকে ফিরে পাওয়ার আনন্দে। কিন্তু এখন ওকে দেখে নিজের অজান্তেই চোখে পানি এসে যায়। কোন একটা সময় ছিল। যখন ওকে আমি আটার বস্তা বলতাম। কারন ও দেখতে একটু মোটা ছিল বলে। কিন্তু সেই মানুষটাই আজ দেখতে কতটা রোগা চিকন হয়েছে। চোখ ডেবে গেছে। আর চোখের নিচে কালি পড়েছে। যা দেখলে মনে হয় আগামি ৫ বছরেও সে কালি ওর চোখের নিচ থেকে যাবে না।এসব ভাবছিলাম আর ওকে সাজাচ্ছিলাম । তখনি লিমা নামের মেয়েটা ডাকতে লাগল..
ঃ স্যার ও স্যার..
.
ঃ কিছু কি বলবেন আপনি।
.
লিমাঃ না মানে বলছিলাম কি আপনে দুপুরের খাবার খাবেন না।(মাথা নিচু করে)
.
আমিঃ হ্যা খাব।
.
লিমাঃ তাহলে আমি কি আপনার খাবারটা টেবিলে বেড়ে দিব।
.
আমিঃ না এক কাজ করুন। আমার খাবারটা আমার রুমেই দিয়ে যান। আর আপনি ও খেয়ে আর আপনি ও খেয়ে নিন।
.
তারপর লিমা আমাকে খাবার আমার রুমেই দিয়ে যায়। আর আমি খাবারটা নিয়ে নিলীমার কাছে যেয়ে বললাম.....
ঃ ঐ জান আমার না একটা হাতের আজ্ঞুল কেটে গেছে। একটু খাইয়ে দিবি। কিরে কিছুতো বল। এভাবে পুতুলের মত চুপ করে আছিস কেন। আমার সাথে কথা বলবি না। তুই না বলতি আমি তোর সাথে কথা না বললে তুই মরে যাবি। তাহলে আজ কেন চুপ করে আছিস। কিছুতো বল।
.
কিছু বলছেনা শুধু শুনেই যাচ্ছে।
.
তারপর আমি খাবার খেতে লাগলাম। খাবার খাওয়ার সময়। কেন যেন মনে হচ্ছে এরকম খাবার আমি আগেও খেয়েছি। যেন একই মানুষের হাতের তৈরি খাবার এগুলো। ধ্যাত আমিও না। পৃথিবীতে কত কি আজব হচ্ছে। আর আমি পড়ে আছি রান্না নিয়ে। তারপর খেয়ে আমি ঘুমিয়ে পড়লাম।
.
নিলীমাকে নিয়ে আসার পর থেকে আমার সব কিছুই পাল্টে যায়। ওকে নিয়মিত ঔষধ খাওয়ানো। গোসল করানো, ডাক্তার দেখানো। আমি ওকে অনেক ডাক্তার দেখিয়ে ছিলাম এই ১ মাস। একটু আসার আলো দেখতে কিন্তু সবাই আমাকে নিরাস করেছে। তবে বাড়ীতে যে কাজের মেয়ে লিমা আছে ও আমার পাশে বন্ধুর মত দাড়িয়ে ছিল। সব সময় আমার মনে সাহস এনে দিয়েছে যে নীলিমা ভালো হবে। খুব খেয়াল রাখত যেন নীলিমা ও নিজের বোন। অনেক দিন রাতে দেখেছি লিমা ওর ঘরে কাদছে। যদি ওকে কিছু জিজ্ঞাস করতাম ও কিছুই বলত না। আমি আজ পর্যন্ত ওর মুখ দেখি নি। কারন ও আমার সামনে বোরকা পড়ে থাকতো। আমি বাড়িতে না থাকার সময় হয়তো ওর মুখ খুলে রাখতো।
.
প্রায় দেড় মাস পরের। আমি ঘুমিয়ে আছি হঠাৎ করেই কেন যেন আমাকে ঠাসস করে একটা চড় দেয়। আর আমি ভয় পেয়ে যাই। কারন আমার রুমে আমি নিলীমা ছাড়া কেউ নেই। তাহলে কে চড় মারল। তা দেখার জন্যে আমি যেই সামনে তাকালাম। আমি যেন হতবাক হয়ে গেলাম। এ আমি কি দেখছি।আমি কি সত্যি এটা দেখছি।নাকি এটা আমার স্বপ্ন। নিলীমা কি সত্যি ঠিক হয়ে গেছে। নিজেই নিজের কাছে প্রশ্ন করে বললাম....
.
আমিঃ নিলীমা তুমি কি সত্যি সুস্থ হয়ে গেছ। নাকি আমি স্বপ্ন দেখছি।
.
নিলীমাঃ তোর সাহস কি করে হল আমাকে এখানে নিয়ে আসার।
.
আমিঃ এসব তুমি কি বলছ। তুমাকে এখানে নিয়ে আসব নাতো কাকে নিয়ে আসব(অবাক হয়ে)
.
নিলীমাঃ কেন তোর সেই প্রেমিকাকে নিয়ে আয়। যার সাথে অসংখ্য বার মেলা মেশা করেছিস।
.
আমিঃ নিলীমা তুমি শান্ত হও আমাকে তোমার আর আমার মধ্যকার সব ভুল বোঝা বুঝি ঠিক করার একটা সুযোগ দাও।
.
নিলীমাঃ কিসের ভুল। নিজের কুকর্ম ঢাকতে আমাকে আমার পরিবারের কাছে খারাপ বানিয়েছিস। তোর কারনে আমি আমার বাবা কে হারিয়েছি। তোর...
.
আরো কিছু বলতে যাবে তখনি লিমা নামের মেয়েটা আমার ঘরে আসতে আসতে বলল..
.
লিমাঃ স্যার আপনে কার সাথে কথা বলছেন??
.
আমিঃ নিলীমার সাথে কথা বলছি।
.
লিমাঃ (হায়রে মানুষ কি ভাবে যে এক মিথ্যা কথা বলে। যে মানুষ কোন দিন সুস্থ হবেনা। সে কি না কথা বলছে। নিশ্চয় রাতে...ছি )
.
আমিঃ কি হল আপনি বাহিরে যে দাড়িয়ে থাকলেন। ভিতরে আসুন। আর তুমি একটু চুপ থাকবে।
.
নিলীমাঃ কি চুপ করব হ্যা। অন্যেদের জানা দরকার তোর এই ভালো মানুষের মুখোসের আড়ালে যে কতটা খারাপ একটা মুখোস আছে।
.
লিমাঃ কে এরকম করে কথা বলছে। তাহলে কি সত্যি..না এ কি করে হয়। ভিতরে যাব কি। যেয়েই দেখি.. সারর... এ কি আপু তুই সত্যি ভালো হয়ে গেছিস। আমারতো বিশ্বাসি হচ্ছে না।(বলেই নিলীমাকে জরিয়ে ধরে)
.
.
আমিঃ (আচ্ছা মেয়েটা পাগল হলো নাতো নিলীমা কি ভাবে এই মেয়ের বোন হতে পারে। তবে আজকে ওর কথা শুনে মনে অনেক বড় একটা খটকা লাগল। কারন আজকে ওর গলার আওয়াজ সম্পূর্ন ছোঁয়ার মত লাগছে।) এই যে আপনি পাগল হলেন নাকি। ও কি ভাবে আপনার বোন হতে পারে?
.
নিলীমাঃ হ্যা আমি ওর বোন। আমার বাবার বন্ধুর মেয়ে। আর আমার বোন মতো ছোঁয়া।
.
আমিঃ কিহহ ও ছোঁয়া(চমকে উঠে)
.
নিলীমাঃ চল ছোঁয়া আমি এখানে একদম থাকতে চাই না। এখানে এই খারাপ মানুষটার কাছে থাকতে আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে।
.
ছোঁয়াঃ আপু আজ কত গুলো বছর পর তুমি কোমায় ছিলে। আর যখন আজ তুমি কোমায় থেকে বের হলে তখন কোথায় তুমি সব কিছু ঠিক করে নতুন করে শুরু করবে। তা নয় তুমি এসব কি বলছ?
.
নিলীমাঃ আমি বুঝতেছি না তুই কেন এই বেইমানটার পক্ষ নিচ্ছিস।
.
ছোঁয়াঃ তুই যা জানিস তা সবই সামান্য পরিমান সত্য। বাকিটা ভুল জানিস।
.
নিলীমাঃ দেখ তুই আমাকে জ্ঞান দিতেন আসবি না। আমি আর কিছু শুনতে চাই না। আমি এ লোকটার মুখ দেখতে চাইনা। কেন যে আল্লাহ এদের মত নীচ লোকদের বাচিয়ে রাখে বুঝতে পারি না। এদের বেচে থাকার চেয়ে মরে যাওয়া অনেক ভাল।
.
ছোঁয়াঃ এসব তুমি কি বলছ আপু? তোমাদের সাথে যা হয়েছে তাতে ওর কোন দোষ ছিল না।
.
নিলীমাঃ আমি আর কোনে কথা শুনতে চাই না। চল এই খান থেকে।
.
আমিঃ তুমি আমাকে ক্ষমা করতে পারে না। আর আমি মরে গেলে তুমি খুশি হবে।
.
নিলীমাঃ হ্যা হবো। আর তোকে কোনদিন ক্ষমা করতে পারবো না। চল ছোঁয়া।
.
.
আমিঃ তোমার কোন ইচ্ছা কোনদিন পূর্ন রাখি নি এটা রাখবো। খুব তাড়া তাড়ি এটাও পুরন হবে।আর এত রাতে কাউকে যেতে হবে না। আমিই চলে যাচ্ছি।
.
তারপর আমি বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলাম। আজ বড় অদ্ভুত লাগছে। যে আমার কিছু হলে পাগল হয়ে যেতো আজ আমি মরে গেলেও কিছু যায় আসে না। আমি তোমার কোনে ইচ্ছা অপূর্ন রাখি নি। আজ তোমার এই ইচ্ছটাও রাখবে না। খুব তাড়াতাড়ি পূর্ন হবে।.........



# খালাতো বোন যখন বউ
#ক্ষুদে_লেখক
# পর্ব--১২ শেষ পর্ব
.
আমি বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলাম। আজ বড় অদ্ভুত লাগছে। যে আমার কিছু হলে পাগল হয়ে যেতো আজ আমি মরে গেলেও কিছু যায় আসে না। আমি তোমার কোনে ইচ্ছা অপূর্ন রাখি নি। আজ তোমার এই ইচ্ছটাও রাখবে না। খুব তাড়াতাড়ি পূর্ন হবে।
.
এইদিকে ছোঁয়া নিলীমাকে বললো...
ঃ এই তুই কি করলি। ৫ বছর আগে আমি যে ভুল করে ছিলাম আজ তুই তাই করলি।
.
নিলীমাঃ মানে!!
.
তারপর ছোঁয়া নিলীমাকে সব বললো। সব শুনে নিলীমা বললো।
.
নিলীমাঃ কিন্তু ও তোর সাথে যা করেছে
তা কি হবে??
.
ছোঁয়াঃ এতে ওর কোনো দোষ নেই। আমার
সব দোষ। আমি তোদের মাঝখানে আসবে না। আমি তোদের মাঝখান চলে যাবো।
.
হঠাৎ ছোঁয়ার ফোনে কল আসে। ফোনটা রিসিব করে। ওই পাশ থেকে যা বলে তা শুনে হাত থেকে ফোনটা পড়ে যায়।
.
নিলীমাঃ কি হয়েছে এমন করছিস কেন ?
.
.
ছোঁয়াঃ সানি এক্সসেদেন হয়েছে। ওকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
.
নিলীমাঃ কি বলছিস তুই এই সব। তাড়াতাড়ি চল।
.
তারপর ছোঁয়া আর নিলীমা হাসপাতালে চলে গেলো। আর পরিবারে সবাই কে খবর দিলে। সবাই যখন হাসপাতালে আসালো সেইখানে নিলীমা কে দেখে সবাই চমকে গেলো। কারন এত বছর পর সে কোয়মা থেকে বাইরে এসেছে । সবাই আজ অনেক খুশি ওকে দেখে। কিন্তু যখন ডাক্তার ওটি থেকে বাইরে এলো। তা মুখে কালো ছাপ। এটি দেখে নিলীমা বলল...
.
ঃ সানি এখন কি অবস্থা??
.
ডাক্তারঃ কিছু বলা যাচ্ছে না। রোগির অবস্থা বেশি আরো খাবাপ হয়ে যাচ্ছে। রোগি কোনে রেসপোন্স করছে না। যদি রোগির বাচার ইচ্ছা না থাকে তা হলে করার কিছু নেই।
.
কথাটা শুনে নিলীমা পাথর হয়ে গেলো। তাহলে সানি কি তার কথা পূরন করবো। কারন নীলিম যখন যা চেয়েছে সানি সব কিছু পুরন করেছে। আজও কি তাহলে সেটা পুরন করবে। তখন ডাক্তার বলল.....
.
ডাক্তারঃ এক্সসিডেনটে কারনে ওনার ব্রেইন আরে ডেমেজ হয়ে গেছে।
.
সানির বাবাঃ মানে!!
.
ডাক্তারঃ ৬ মাস আগে আমি যখন ঢাকাতে ছিলাম তখন ওনি আমার কাছে চেকাপরে জন্য এসেছিলেন। চেকাপরে ওনার ব্রেইন টিওমার ধরা পরে। তখন তো মাএ ২০% ডেমেজ ছিলো। কিন্তু এখন তা ৫০% এসে পড়েছে।
.
সবাই ডাক্তারে কথা শুনে নিস্তবো হয়ে গেলো। কেউ বিশ্বাস হচ্ছে না যে সানির ব্রেইন টিউমার। তখন ডাক্তার আবার বললো....
.
ডাক্তারঃ আমি জীবনে প্রথম কোনো ব্যক্তি দেখছি যে মূত্যর কথা শুনে খুশি হয়েছে।
.
ছোঁয়াঃ তাহলে কোনো উপায় নেই??
.
ডাক্তারঃ আছে। কিন্তু বাচার আশা ৩০%। আমি অপোরোশনের ব্যবস্থা করছি।
.
সব ব্যবস্থা করার পর ডাক্তার এটা কাগজে সাইন করতে বলে যে অপোরোশনের সময় সানি মারা গেলে দায় কারো নেই। কেউ সাইন করার সাহস পাচ্ছে না। কিন্তু ছোঁয়া তাতে সাইন করতে রাজি হয়। যখন তাকে বলা হয় সানি সাথে তার সম্পর্ক কি তখন নিলীমা বলে স্বামি।
.
অপারেশন শুরু করা হয়। ৩ ঘন্টা পরে অপারেশন শেষ হয়। ডাক্তার বলে ৭২ ঘন্টার আগে ঙ্গার ফিরবে না। আর ৭২ ঘন্টা পরে ঙ্গান না ফিরলে।
.
৭২ ঘন্টা পরে যখন সানি চোখ খুলে তার বুকের ওপর মনে হয় ভারি কিছু আছে। ভালোবাবে দেখে ছোঁয়া আর নিলীমা। যখন সানি রাস্তা দিয়ে আনমনে হাটছিলো তখন তাকে একটা গাড়ি ধাক্কা মারে তারপর কিছু মনে নেই। সে ভাবে সে মরে গেছে। তাই কনফার্ম হওয়ার জন্য একটু নেড়ে। আর এতে ছোঁয়া আর নিলীমার ঘুম ভেঙ্গে যায়।
.
যখন তারা দেখে সানি চোখ খুলেছে। ছোঁয়া
পরিবারের। সবাই কে ডাকে।সবাই কোবিনে
আসে। তখন আমি একটা কথা বলি...
ঃ কেউ আমাকে বলবে আমি বেঁচে আছি না মরে গেছি।
.
এই কথাটা শুনে সবাই অবাক নজরে তাকায়। তখন নিলীমা বলে...
ঃ তোর মরার খুব ইচ্ছা না। সুস্থ হ তারপর আমারই তোকে মেরে ফেলবো।
.
আমিঃ আমরা মানে!!
.
ছোঁয়াঃ আমি আর আপু। অনেক কষ্ট দিয়েছো আমাদের এখন তার শোধ দুই জনে মিলে তুলবো।
পরিবারে সবাই আমাদের মনে নেই। আর আমার উপর চলতে থাকে দুই বউ এর অত্যাচার।
##অভিরাম ভালোবাসা রইল তাদের প্রতি যারা আমাকে এই গল্পে পুরো সাপোর্ট এবং রেসপন্স করছেন। আশা করব পরবর্তী গল্পে আর ও বেশি সাপোর্ট পাব। এবং পরবর্তীতে কী নিয়ে গল্প লিখব ইনবক্সে জানিয়ে দিন। লাইক কমেন্ট ও শেয়ার করে সাথেই থাকুন 💝 আগের পর্বগুলো আমার টাইমলাইনে দেওয়া আছে 💝
<<<<<সমাপ্ত>>>>