রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
মহিলাদের লেবাসের শর্তাবলী নিম্নরুপ:-
লেবাস যেন দেহের সর্বাঙ্গকে ঢেকে রাখে।
দেহের কোন অঙ্গ বা সৌন্দর্য যেন কোন বেগানা
(যার সাথে কোনও সময়ে বিবাহ্ বৈধ এমন) পুরুষের
সামনে প্রকাশ না পায়। কেন না মহানবী (সাঃ)
বলেন, “মেয়ে মানুষের সবটাই লজ্জাস্থান
(গোপনীয়)। আর সে যখন বের হয়, তখন শয়তান তাকে
পুরুষের দৃষ্টিতে পরিশোভিতা করে
তোলে।” (তিরমিযী, সুনান, মিশকাত ৩১০৯ নং)
মহান আল্লাহ বলেন, “হে নবী! তুমি তোমার
পত্নীগণকে, কন্যাগণকে এবং মুমিনদের স্ত্রীগণকে
বলে দাও, তারা যেন তাদের চাদরের কিয়দংশ
নিজেদের (চেহারার) উপর টেনে নেয়---।” (কুরআন
মাজীদ ৩৩/৫৯)
হযরত উম্মে সালামাহ্ (রাঃ) বলেন, ‘উক্ত আয়াত
অবতীর্ণ হলে (মদ্বীনার) আনসারদের মহিলারা যখন
বের হল, তখন তাদের মাথায় (কালো) চাদর (বা
মোটা উড়না) দেখে মনে হচ্ছিল যেন ওদের মাথায়
কালো কাকের ঝাঁক বসে আছে!’ (আবূদাঊদ, সুনান
৪১০১ নং)
আল্লাহ তাআলার আদেশ, মুমিন মেয়েরা যেন
তাদের ঘাড় ও বুককে মাথার কাপড় দ্বারা ঢেকে
নেয়---। (কুরআন মাজীদ ২৪/৩১)
হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, ‘পূর্বের মুহাজির
মহিলাদের প্রতি আল্লাহ রহ্ম করেন। উক্ত আয়াত
অবতীর্ণ হলে তারা তাদের পরিধেয় কাপড়সমূহের
মধ্যে সবচেয়ে মোটা কাপড়টিকে ফেড়ে মাথার
উড়না বানিয়ে মাথা (ঘাড়-গলা-বুক)
ঢেকেছিল।’ (আবূদাঊদ, সুনান ৪১০২)
সাহাবাদের মহিলাগণ যখন পথে চলতেন, তখন তাঁদের
নিম্নাঙ্গের কাপড়ের শেষ প্রান্ত মাটির উপর
ছেঁচড়ে যেত। নাপাক জায়গাতে চলার সময়েও
তাদের কেউই পায়ের পাতা বের করতেন না।
(মিশকাত ৫০৪, ৫১২, ৪৩৩৫ নং)
সুতরাং মাথা ও পায়ের মধ্যবর্তী কোন অঙ্গ যে
প্রকাশ করাই যাবে না, তা অনুমেয়।
যে লেবাস মহিলা পরিধান করবে সেটাই যেন
(বেগানা পুরুষের সামনে) সৌন্দর্যময় ও দৃষ্টি-আকর্ষী
না হয়। যেহেতু মহান আল্লাহ বলেন, “সাধারণত: যা
প্রকাশ হয়ে থাকে তা ছাড়া তারা যেন তাদের
অন্যান্য সৌন্দর্য প্রকাশ না করে।” (কুরআন মাজীদ
২৪/৩১)
লেবাস যেন এমন পাতলা না হয়, যাতে কাপড়ের উপর
থেকেও ভিতরের চামড়া নজরে আসে। নচেৎ ঢাকা
থাকলেও খোলার পর্যায়ভুক্ত। এ ব্যাপারে এক
হাদীসে আল্লাহর রসূল (সাঃ) হযরত আসমা (রাঃ)
কে সতর্ক করেছিলেন। (আবূদাঊদ, সুনান, মিশকাত
৪৩৭২ নং)
একদা হাফসা বিন্তে আব্দুর রহ্মান পাতলা ওড়না
পরে হযরত আয়েশা (রাঃ) এর নিকট গেলে তিনি
তার উড়নাকে ছিঁড়ে ফেলে দিলেন এবং তাকে
একটি মোটা ওড়না পরতে দিলেন। (মালেক, মুঅত্তা,
মিশকাত ৪৩৭৫ নং)
মহানবী (সাঃ) বলেন, “দুই শ্রেণীর মানুষ দোযখবাসী;
যাদেরকে আমি (এখনো) দেখিনি। ---(এদের মধ্যে
দ্বিতীয় শ্রেণীর মানুষ সেই) মহিলাদল, যারা কাপড়
পরেও উলঙ্গ থাকবে, অপর পুরুষকে নিজের দিকে
আকৃষ্ট করবে এবং নিজেও তার দিকে আকৃষ্ট হবে,
যাদের মাথা (চুলের খোঁপা) হিলে থাকা উটের
কুঁজের মত হবে। তারা বেহেশ্তে প্রবেশ করবে না।
আর তার সুগন্ধও পাবে না; অথচ তার সুগন্ধ এত এত
দূরবর্তী স্থান থেকেও পাওয়া যাবে।” (আহমাদ,
মুসনাদ, মুসলিম, সহীহ জামে ৩৭৯৯ নং)
পোশাক যেন এমন আঁট- সাঁ ট (টাইট ফিট) না হয়,
যাতে দেহের উঁচু-নিচু ব্যক্ত হয়। কারণ এমন ঢাকাও
খোলার পর্যায়ভুক্ত এবং দৃষ্টি-আকর্ষী ।
যেন সুগন্ধিত না হয়। মহানবী (সাঃ) বলেন, “সেন্ট
বিলাবার উদ্দেশ্যে কোন মহিলা যদি তা ব্যবহার
করে পুরুষদের সামনে যায়, তবে সে বেশ্যা
মেয়ে।” (আবূদাঊদ, সুনান, তিরমিযী, সুনান, মিশকাত
১০৬৫ নং)
সেন্ট ব্যবহার করে মহিলা মসজিদেও যেতে পারে
না। একদা চাশতের সময় আবূ হুরাইরা (রাঃ) মসজিদ
থেকে বের হলেন। দেখলেন, একটি মহিলা মসজিদ
প্রবেশে উদ্যত। তার দেহ্ বা লেবাস থেকে উৎকৃষ্ট
সুগন্ধির সুবাস ছড়াচ্ছিল। আবূ হুরাইরা মহিলাটির
উদ্দেশে বললেন, ‘আলাইকিস সালাম।’ মহিলাটি
সালামের উত্তর দিল। তিনি তাকে প্রশ্ন করলেন,
‘কোথায় যাবে তুমি?’ সে বলল, ‘মসজিদে।’ বললেন,
‘কি জন্য এমন সুন্দর সুগন্ধি মেখেছ তুমি?’ বলল,
‘মসজিদের জন্য।’ বললেন, ‘আল্লাহর কসম?’ বলল,
‘আল্লাহর কসম।’ পুনরায় বললেন, ‘আল্লাহর কসম?’ বলল,
‘আল্লাহর কসম।’ তখন তিনি বললেন, ‘তবে শোন,
আমাকে আমার প্রিয়তম আবুল কাসেম (সাঃ)
বলেছেন যে, “সেই মহিলার কোন নামায কবুল হয় না,
যে তার স্বামী ছাড়া অন্য কারোর জন্য সুগন্ধি
ব্যবহার করে; যতক্ষণ না সে নাপাকীর গোসল করার
মত গোসল করে নেয়।” অতএব তুমি ফিরে যাও, গোসল
করে সুগন্ধি ধুয়ে ফেল। তারপর ফিরে এসে নামায
পড়ো।’ (আবূদাঊদ, সুনান, নাসাঈ, সুনান, ইবনে মাজাহ্,
সুনান, বায়হাকী, সিলসিলাহ সহীহাহ, আলবানী ১০৩১
নং)
লেবাস যেন কোন কাফের মহিলার অনুকৃত না হয়।
প্রিয় নবী (সাঃ) বলেন, “যে ব্যক্তি যে জাতির
সাদৃশ্য অবলম্বন (লেবাসে- পোশাকে, চাল-চলনে
অনুকরণ) করবে সে তাদেরই দলভুক্ত।” (আবূদাঊদ, সুনান,
মিশকাত ৪৩৪৭ নং)
তা যেন পুরুষদের লেবাসের অনুরুপ না হয়। মহানবী
(সাঃ) সেই নারীদেরকে অভিশাপ দিয়েছেন, যারা
পুরুষদের বেশ ধারণ করে এবং সেই পুরুষদেরকেও
অভিশাপ দিয়েছেন, যারা নারীদের বেশ ধারণ
করে।” (আবূদাঊদ, সুনান ৪০৯৭, ইবনে মাজাহ্, সুনান
১৯০৪ নং)
তিনি সেই পুরুষকে অভিশাপ দিয়েছেন, যে মহিলার
মত লেবাস পরে এবং সেই মহিলাকেও অভিশাপ
দিয়েছেন, যে পুরুষের মত লেবাস পরে। (আবূদাঊদ,
সুনান ৪০৯৮, ইবনে মাজাহ্, সুনান ১৯০৩ নং)
লেবাস যেন জাঁকজমকপূর্ণ প্রসিদ্ধিজনক না হয়।
কারণ, বিরল ধরনের লেবাস পরলে সাধারণত:
পরিধানকারীর মনে গর্ব সৃষ্টি হয় এবং দর্শকের দৃষ্টি
আকর্ষণ করে। তাই মহানবী (সাঃ) বলেন, “যে ব্যক্তি
দুনিয়াতে প্রসিদ্ধিজনক লেবাস পরবে, আল্লাহ
তাকে কিয়ামতে লাঞ্ছনার লেবাস
পরাবেন।” (আহমাদ, মুসনাদ, আবূদাঊদ, সুনান, ইবনে
মাজাহ্, সুনান, মিশকাত ৪৩৪৬ নং)
“যে ব্যক্তি জাঁকজমকপূর্ণ লেবাস পরবে, আল্লাহ
তাকে কিয়ামতে অনুরুপ লেবাস পরিয়ে তা অগ্নিদগ্ধ
করবেন।” (আবূদাঊদ, সুনান, বায়হাকী, সহীহ জামে
৬৫২৬ নং)
অধিকাংশ নারীর নামাজ হচ্ছে না!
আপনি কি কখন ভেবে দেখেছ?
আপনার নামাজ কেন হচ্ছে না?
প্রতিটি নারীর পড়া অত্যন্ত জরুরি!
-------- মিলিয়ে নিন! আপনি কি ঐ নারী-------
হে মানব জাতি! তোমাদের লজ্জাস্থান ঢাকার ও
বেশভূষার জন্য আমি তোমাদেরকে লেবাস দিয়েছি।
পরন্তু ‘তাকওয়া’র লেবাসই সর্বোৎকৃষ্ট (সূরা আরাফ
আয়াত নং ২৬)
“হে আদম সন্তানগণ! প্রত্যেক নামাযের সময় তোমরা
সুন্দর পরিচ্ছদ পরিধান কর। পানাহার কর, কিন্তু অপচয়
করো না। তিনি অপব্যয়ীদের পছন্দ করেন না।” (সূরা
আরাফ আয়াত নং ৩১)
শরীয়তের সভ্য-দৃষ্টিতে সাধারণভাবে লেবাসের
কতকগুলি শর্ত ও আদব রয়েছে; যা পালন করতে মুসলিম
বাধ্য।
একজন বেপর্দা নারীর জন্য তার
পরিবারের ৪ জন পুরুষ জাহান্নামী
হবে !
১. তার বাবা
২. তার বড় ভাই
৩. তার স্বামী
৪. তার বড় ছেলে
(মুসনাদে আহম্মদ ৫৮৩৯
মহিলাদের পর্দা করা ফরজ,
ফুল কালো বোরখা পড়তে হবে,
মুখ ও ঢাকতে হবে, আপনার শরীরের কোন অঙ্গ দেখা এমনকি আপনার কন্ঠ বা আওয়াজ দ্বারা যদি কোন পুরুষ আকৃষ্ট হয় তবে আপনার আর সেই পুরুষের আমল নামায় জিনা করার গুনাহ্ লিখা হবে,,,,,,,,,,।